তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইসরোর বিজ্ঞানীর

তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। তিনবছর পর এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মহাকাশ বিজ্ঞানী তপন মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর সদর দফতরে তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। তিনি সেখানে একটি ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। এই মাসেই অবসর নিচ্ছেন তিনি। তার আগে জীবনের ভয়ে তিনি এই কথা জানাচ্ছেন।

ফেসবুকে তপনবাবু লিখেছেন, বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু কথা তিনি শুনেছেন। এস শ্রীনিবাসন ও নাম্বিনারায়ণের সন্দেহজনক মৃত্যুর কথাও তিনি জেনেছেন। তিনিও তারই শিকার হয়েছেন। তাঁকে আর্সেনিক ট্রায়োক্সাইড দেওয়া হয়েছিল। সেটা মেশানো হয়েছিল দোসার চাটনির সঙ্গে। তারপর ২ বছর তিনি অসহ্য যন্ত্রণা পেয়েছেন। মলদ্বার দিয়ে ক্রমাগত রক্তপাত হত। আমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেইসঙ্গে ছিল প্রবল শ্বাসকষ্ট। চামড়ায় র‌্যাশ বেরিয়েছিল। আর্সেনিকের প্রভাবে দেহে যন্ত্রণা, স্নায়বিক রোগও দেখা দিয়েছিল।

ফরেন্সিক ডাক্তাররা বলেছেন, তিনি বিষক্রিয়ার শিকার। ইসরোর এক বিজ্ঞানীও একই কথা বলেছিলেন তাঁকে। তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও সতর্ক করেছিল। তাঁর সন্দেহ এটা গুপ্তচরদের কাজ। মহাকাশ বিজ্ঞানের কাজে নিযুক্ত এক বিজ্ঞানীকে সরিয়ে দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এমনকী, তাঁর পদোন্নতি আটকাতেও এমন কাজ করা হতে পারে। এনিয়ে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাঁকে ইমেলে মুখ বন্ধ করার জন্য। হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ভরাতীয় বংশোদ্ভূত একজন এসে তাঁকে মুখ বন্ধ করার বিনিময়ে তাঁর নাতিকে আমেরিকার সেরা কলেজে ভর্তি করা কথাও বলেছিলেন। তিনি অস্বীকার করার পর সেইদিনই তাঁকে সব দায়িত্ব থেকে সবিয়ে দেওয়া হয়। চন্দ্রায়ন অভিযানের ২ দিন আগেও তাঁকে বিষ দেওয়া হয়েছিল। 


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post