গরু ও কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের কৈখালির ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই। এয়ারপোর্ট এলাকার কৈখালির যমুনা এপার্টমেন্টের ১০১ নম্বর ফ্ল্যাটে শুক্রবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিনয় মিশ্রের দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভেনিউয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তিনি এক প্রভাবশালী সাংসদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে লেকটাউনেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযানে ওই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। কয়েক বছর ধরেই বিনয় সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলেছিল। পাশাপাশি কয়লা পাচার চক্রের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজির সঙ্গেও একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সূত্রের খবর, বিনয়ের মাধ্যমেই রাজ্যের প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে এই পাচারচক্রের যোগাযোগ তৈরি হয়। এখনও ফেরার ওই ব্যবসায়ী। আগামী সোমবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দফতরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাচারের এই টাকা কোন কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো হত সে বিষয়েই বিনয়কে জেরা করতে চায় সিবিআই। তবে শুধুমাত্র বেআইনি ব্যবসাই নয়, সিবিআই সূত্রে খবর বিনয় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপরেও সম্প্রতি প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে পুলিশ পোস্টিং নিয়ে বিনয়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। একইসঙ্গে নতুন তৈরি হওয়া পুলিশ ডিস্ট্রিক্টগুলিতে কারা সম্প্রতি পোস্টিং পেয়েছেন এবং এক্ষেত্রে বিনয় মিশ্রার ভূমিকা কী ছিল সেবিষটিও তদন্তের তালিকায় রাখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই মালদা জেলার দুই পুলিশ কর্মীকে এনিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এবার বাঁকুড়ার এক পুলিশ অফিসার সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিকের ভূমিকাও সিবিআই নজরে রয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback