কেন্দ্রীয় বাজেটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জের বাজেটে শেষ মুহূর্তের কলম চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অফিসাররা। তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, এবারের বাজেট হবে ব্যতিক্রমী। এতদিনের বহু ঐতিহ্য, রীতিনীতি পাল্টে দেওয়া হচ্ছে এবার।
১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বরের পর থেকে এই প্রথম বাজেট বক্তৃতা ছাপা হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী আর কে সম্মুগম সেদিনই প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। শুধুমাত্র বাজেট পেপার ছাপা জন্যই নর্থ ব্লকে রয়েছে একটি আলাদা ছাপাখানা। সেখানে বাজেটের সঙ্গে যুক্ত ১০০ জন অফিসার ও কর্মীর থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। বাজেট ছেপে সিলবন্দি হওয়ার পর থেকে বিতরণ পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকেন। করোনার বিধিনিষেধের জন্য এবার এই প্রথা বন্ধ করা হয়েছে।
বাজেটের কাগজপত্র ছাপার কাজ শুরুর আগে বরাবরের প্রথা হালুয়া তৈরি করে খাওয়া। এবার হয়নি তাও। এবার সংসদের ৭৫০ সদস্য বাজেট পাবেন ডিজিটাল মাধ্যমে। তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সফট কপি। একইভাবে পাবেন অর্থনৈতিক সমীক্ষা। বাজেটের দিন লরিতে বোঝাই হয়ে বইপত্র নিয়ে আসার পরিচিত দৃশ্য এবার থাকছে না। এমনিতেই করোনার সময় সংসদ ছিল কাগজবিহীন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback