ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে প্রথম দফার করোনা টিকা। আপাতত বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোরে সুরক্ষিত থাকবে করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’। আগামী তিনদিনের মধ্যে সেগুলি ধাপে ধাপে পৌঁছে যাবে জেলায় জেলায়। স্বাস্থ্যদফতর এর জন্য কয়েকটি ‘ইনসুলেটেড ভ্যান’ তৈরি রেখেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে কারা কারা প্রথমে পাবেন, কীভাবেই বা বাছা হবে তাঁদের?
রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় রাজ্যের সমস্ত কোভিড হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৬ লাখ। সেইমতো কলকাতায় এসেছে ৯ লাখ ৬০ হাজার টিকার ডোজ। রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে কোভিশিল্ড পৌঁছে গিয়েছে। কোভিড-১৯ হাসপাতালে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন, তাঁরাই প্রথমে টিকা পাবেন’। অপরদিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম টিকা প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল। সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, আপাতত কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাক্সিন এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। ফলে কাউকে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করতে হলে তাঁর অনুমতি নেওয়া আবশ্যিক। আর রাজ্য সরকারও সেটা জানে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন পুলিশকর্মীরা, তৃতীয় পর্যায়ে টিকা পাবেন করোনার কর্মকাণ্ডে যুক্ত প্রশাসনিক কর্মীরা। এরপর চতুর্থ পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে ৫০ বা তার বেশি বয়েসি নাগরিকদের। আবার যাদের কো-মর্বিডিটি আছে এমন ৫০-এর কম বয়েসিদেরও চিহ্নিত করে টিকা দেওয়া হবে চতুর্থ পর্যায়ে। সব শেষে অর্থাৎ পঞ্চম পর্যায়ে টিকা পাবেন সাধারণ মানুষ। প্রথম ডোজ দেওয়ার একমাস পর দেওয়া হবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ। প্রথম ডোজ নেওয়ার ওই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ কক্ষে রাখা হবে কিছুক্ষণ। সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষকে টিকা প্রদান করার নির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা এখনও তৈরি হয়নি। আপাতত ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাম নথিভুক্ত করবেন। নাকি নির্দিষ্ট নম্বর বা ওয়েবসাইটে নাম নথিভূক্ত করতে হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
Post a Comment
Thank You for your important feedback