ঘরের মধ্যে পুড়ছে স্ত্রী, এক কোনে বসে দিব্বি সেই দৃশ্য
দেখছে স্বামী! দাম্পত্য কলহের এমনই নৃশংস পরিণতির সাক্ষী থাকল উলুবেড়িয়া
রাজাপুর। স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধেই। মৃত
গৃহবধূর নাম জয়া মণ্ডল (২৩)। অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী শ্যামপদ মণ্ডলকে আটক
করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর সাতেক আগে
উলুবেড়িয়া কাঁটাবেড়িয়া শঙ্কর শিকারীর নাবালিকা মেয়ে জয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল
শ্যামাপদ মণ্ডলের। শ্যামাপদ ও জয়া দু'জনেই দিনমজুর। তাঁদের দুটি ছেলেও
হয়। এদিকে বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি ছিল। মৃতার এক আত্মীয়ের দাবি,
শ্যামাপদ প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় এসে জয়াকে মারধর করতেন। অনেকবার মীমাংসা
করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ফের যে কে সেই। মাস পাঁচেক আগে আর অত্যাচার সহ্য
করতে না পেরে রাগ করে বাপের চলে এসেছিল। কিন্তু মাসখানেক আগে শ্যামাপদ
ক্ষমা চেয়ে আবার তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, শনিবার ফের
অশান্তি করে শ্যামাপদ। জয়াকে মারধরও করে সে। রাগের মাথায় স্ত্রীর গায়ে
কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় শ্যামাপদ। এমনকি কেউ যাতে বাইরে থেকে ঢুকতে
না পারে তারজন্য ভিতর থেকে ঘরে তালাও মেরে দেয় বলে অভিযোগ। ঘরের মধ্যেই
জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় জয়ার।
এক প্রতিবেশীর দাবি, দুপুরে হঠাৎই ওই
বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন তাঁরা। বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন দুই
ছেলে বাইরে খেলা করছে। এরপরই জানলা দিয়ে দেখতে পান ঘরের ভেতরে জয়া পুড়ছেন।
আর তাঁর স্বামী শ্যামাপদ ঘরের এক কোনে বসে আছে। দরজা বন্ধ থাকায়, জানালা
ভেঙে ভিতরে ঢুকে শ্যামাপদকে বাইরে আনেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহটি
উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত
গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা
পুলিশ।
Post a Comment
Thank You for your important feedback