বহর কমছে গঙ্গাসাগর মেলার

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ফলে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমরা কাউকেই পুন্যস্নানে আসতে মানা করতে পারি না। তাই আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, এবার মেলার বহর কমানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‌আমরা এই মেলাকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছি। কারণ কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। গত বছর ৫ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল, এবার দু'লাখের বেশি হবে না। উল্লেখ্য, প্রয়াগের কুম্ভ মেলার পরই গঙ্গাসাগর মেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম। তাই প্রতি বছরই এখানে লাখ লাখ পুণ্যার্থী আসেন পুন্যস্নান করতে। চলতি বছর গঙ্গাসাগরে পুন্যস্নান চলবে ৮ থেকে ১৪ জানুয়ারি। 

রাজ্য সরকার এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মেলাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ৬০০ কোভিড শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি  ৬টি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র থাকছে। আটটি সেফ হোম, ১১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং পাঁচটি আইসোলেশন সেন্টার রাখা হবে সাগরে। এছাড়া ৮০০ জনের বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম তৈরি করা হচ্ছে, যারা দিনরাত মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের ওপর নজর রাখবে যে সকল কোভিড বিধি মেনে চলছেন কিনা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নাম দিয়েছেন 'সাগরবন্ধু'। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমস্ত পুণ্যার্থীর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। এই পরীক্ষা করা হবে মেলাপ্রাঙ্গণে পৌঁছানোর আগেই। আর এখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকবে। পাশাপাশি প্রতি বছরের মতোই মেলা উপলক্ষে থাকবে এয়ার এম্বুলেনস ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেনস। থাকবে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এছাড়া রাজ্যের তরফে অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে যাতে ওই রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের তালিকা আগাম পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখতে নারাজ নবান্ন। যদিও গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের আর্জি জানিয়ে একটি জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যার শুনানি হবে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার।


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post