গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে, খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

কুম্ভমেলার পর গঙ্গাসাগর মেলাই সবচেয়ে বড় পুণ্যস্নান। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরই এসে পড়বে মকরসংক্রান্তির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতে সংক্রমণ এড়াতে এবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর এই তিথিতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন সাগরদ্বীপে, কপিলমুনির আশ্রমে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা, সেই কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৫ই জানুয়ারি রাত পর্যন্ত। সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নিজেই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলা শুরুর আগের দিনগুলি ৮ ও ৯ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরেই থাকবেন তিনি। সেখান থেকেই  গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরআগে ৭ জানুয়ারি নামখানায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করার কথা রয়েছে তাঁর।

 
করোনা আবহে মেলা ঘিরে প্রথমে  সংশয় তৈরি হলেও সংক্রমণ এড়াতে মেলা থেকে মন্দির দর্শন— সব কিছুতেই ভার্চুয়াল মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। মেলার শুরু থেকে সাগরতট সহ মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেলার ক'দিন মাইকের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে খোলা মাঠে মল, মূত্র যাতে ত্যাগ না করেন, তার জন্য বিভিন্ন ভাষায় বারবার ঘোষণা করা হবে। সাগরতট ও মেলার মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য স্থানীয় গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাগর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে শতাধিক পুরুষ ও মহিলা সাফাইকর্মী।

সাগরতট ও মেলাজুড়ে রাখা থাকবে প্রায় দু’হাজারের বেশি ভ্যাট। উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগরে প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবছর বিকল্প হিসেবে  মেলায় কাগজের ঠোঙা ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মেলা ঘিরে নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে আঁটোসাটো। কচুবেড়িয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী  ঘাট থেকে স্যানিটাইজ করেই গাড়িতে উঠবেন তীর্থযাত্রীরা। মূল মন্দিরের সামনে যে ভিড় থাকে তা যাতে না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। স্নানঘাটেও থাকছে বাড়তি নজরদারি। স্পিড বোট, হোভারক্রাফটের সাহায্যে পরিচালনা করা হবে।


এছাড়া স্নানের দিন ড্রোন ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকেও নজর রাখা হবে তীর্থযাত্রীদের। ইতিমধ্যেই মেলা প্রাঙ্গণে নাগাসাধুদের দল চলে এসেছেন। করোনা আবহে তীর্থযাত্রীদের আসা নিয়ে সংশয় থাকলেও পুণ্যার্থীদের আশা, সব বাঁধা পেরিয়ে তাঁরা গঙ্গা গরে পৌঁছে যাবেন।



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post