কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার মাস্কেট

পুলিশি অভিযানে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার মাস্কেট। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে মালদার কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাগ্রাম এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক অভিযুক্ত মন্টু শেখ। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।  

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকার চামাগ্রামে অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। ওই অভিযানে গ্রামের বাসিন্দা মন্টু শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযুক্তের ভাইপো সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মোজারুল ইসলাম জানান, মন্টু শেখ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে এখন বিশেষ যোগাযোগ নেই মন্টু শেখের। তবে আগেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে না অন্য কোথাও রাখা ছিল সে বিষয়ে তিনি জানেন না।    

এদিকে আর তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এবিষয়ে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মালদা জেলা জুড়ে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে তৃণমূল নেতারা। আমরা এ ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছি। এরআগে শামসিতে গুলি চালানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোট পাবে না জেনেই অস্ত্রের ঝাঁঝালো শব্দ শুনিয়ে ভোট করতে চাইছে তৃণমূল। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক এটাই আমরা চাই। না হলে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হবে ভোটের আগে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। মালদা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, যার বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে সে এক তৃণমূল কর্মীর আত্মীয়। তার সঙ্গে দলকে জড়িয়ে লাভ নেই। মিথ্যাচার করছে বিজেপি। ওরা শুধু উদ্ধারের কথাই বলেন, কালো টাকা উদ্ধারের কথা বলেছিলেন হয়নি। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে কিছু মজুতও নেই, তাই কিছু উদ্ধারও হবে না। 

এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত মন্টু শেখের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা সেবিষয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।  


Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post