দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সোমবার বিজেপির হয়ে ময়দানে পদার্পণ করতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত বিজেপির এই র্যালির কোনও অনুমতি দেয়নি লালবাজার। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে বৈঠক হয় বিজেপি নেতাদের। জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে বাইক র্যালির বদলে পদযাত্রাই হবে। কিন্তু মিছিলের রুটের কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। ফলে সোমবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হতেই পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিজেপি সূত্রে খবর, এদিনের র্যালি বা পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা মোমিমপুর ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে। এরপর নিউ আলিপুর, টালিগঞ্জ হয়ে রাসবিহারী, হাজরা মোড়, এক্সাইড মোড়, কে সি দাস মোড়, সেন্ট্রাল এভিনিউ পেরিয়ে মুরলীধর সেন লেনে আসার কথা। রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে শেষ হবে কর্মসূচি। কর্মসূচিতে থাকবেন বিজেপি নেতা তথা কলকাতার পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। জানা যাচ্ছে, পুলিশের মূল আপত্তি ছিল বাইক র্যালি হলে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় যানযট হতে পারে। তাই এই বাইক র্যালির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। রবিবার রাত পর্যন্ত এই নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করেন। পরে ঠিক হয় পুলিশের দাবিমতো বাইক র্যালি করা হবে না। তবে পদযাত্রা হবে।
দক্ষিণ কলকাতা মণ্ডলের বিজেপি নেতা রাকেশ সিং জানিয়েছেন, কর্মসূচি হবেই। যে সময়ে, যেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা, তা-ই হবে। আমরা পুলিশকে সব কিছু আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন পুলিশের দায়িত্ব যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আমি তো প্রতিদিন মিছিল করি। অনুমতি চাইতে গেলে পুলিশ অনুমতি দেয় না। তাই অনুমতি ছাড়াই আমি মিছিল করি এবং সেটাই করা উচিত। তাঁর আরও প্রশ্ন, তৃণমূলের সব কর্মসূচির অনুমতি দিতে তো হাত কাঁপে না পুলিশের? সবমিলিয়ে সপ্তাহের প্রথমদিনই যানজট পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ থেকে মধ্য কলকাতার বিরাট অঞ্চলে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback