ফের শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার ধর্মতলা চত্বর। মঙ্গলবার মিছিল শুরুর আগেই আন্দোলনকারীদের আটকাতে শহিদ মিনার ময়দানের এক্সিট পয়েন্ট ঘিরে দেয় পুলিশ। এনিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে দেন আন্দোলনকারীরা। ব্যারিকেড ডিঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর জেরে বেশ কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ প্রায় ৩ জন। শেষপর্যন্ত ধরনা মঞ্চের কাছেই ফিরে আসেন তাঁরা। উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এদিন অর্ধনগ্ন হয়ে লালবাজার অভিযান করার কথা ছিল আন্দোলনরত শিক্ষকদের। তাঁদের দাবি, আর্থিক দিক থেকে আগেই চরম দুর্দশায় রয়েছেন। সোমবার যেভাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শিক্ষকদের সম্মানহানি করেছে তাঁর প্রতিবাদে বার্তা দিতেই তাঁদের এই উদ্যোগ। আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, রাজ্য সরকারের তরফে ইতিবাচক কোনও আশ্বাস না দেওয়া হলে এই বিক্ষোভ চলবে।
বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণ সহ একাধিক দাবিতে সোমবার নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। ওই অভিযানে পুলিশ-শিক্ষক সংঘর্ষে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় রেড রোডে। হাতাহাতিতে নাক ফেটে যায় ডিসি সুধীর কুমারের। অসুস্থ দুই আন্দোলনকারীকে এসএসকেএম হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ওইদিন বিকেল থেকেই অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে আইন অমান্য করে নবান্ন অভিযানের জন্য শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম শেখকে আইনি নোটিশ পাঠায় লালবাজার পুলিশ। সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সাউথ। এর প্রতিবাদেই লালবাজারে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের।
Post a Comment
Thank You for your important feedback