হাই ভোল্টেজ সোমবারে শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নন্দীগ্রামেই ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর গড় দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারীতে জনসভায় পাল্টা হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু। তিনি নাম না করেই তৃণমূল নেত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে দাঁড়ান আর যেখানেই দাঁড়ান। আজকের দিন তারিখ দিয়ে লিখে রাখুন হাফ লাখ ভোটে মাননীয়াকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’।
তিনি আরও বলেন, আপনি দাঁড়াতেই পারেন, ওটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, আপনাদের পার্টিতে হয়। বিহার থেকে টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করছে। বুদ্ধি ধার নিতে প্রশান্ত কিশোরকে আনছেন। ভারতীয় জনতা পার্টিতে এটা হয় না। এট শৃঙ্খলিত পার্টি। এদিন বিজেপির রোড শোয়ে তৃণমূলের হামলার প্রসঙ্গও তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রীর ছোট ছোট ভাইরা ঢিল ছুঁড়ছিল। আপনারা যা তাড়াটা করলেন না, তার জন্য যুব মোর্চার কর্মীদের আমি সেলাম জানাই। পুরো মোদিজির মতো, ঘর মে ঘুসকে মারা। এদিন রাসবিহারী মোড়ে দাঁড়িয়েই তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ২১ বছর ওই দলটা করেছি, এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মাত্র দেড়জনের দলে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। এরপরই আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, যখন ভোট আসে তখন তাঁর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে। ৫ বছর অন্তর নন্দীগ্রামে যান। নন্দীগ্রামের মানুষের জন্য কী করেছেন? উত্তর দিতে পারবেন দিদি? এরপরই শুভেন্দু জানান, আগামীকালই নন্দীগ্রামে সভা করবেন তিনি। সেখানে এক লাখ লোকের সমাগম হবে। চারটি ব্লক থেকেই শুধু লোক আসবে, বাইরের লোককে আনতে লাগবে না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback