আরও বাড়ল দূরত্ব, কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছে
তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া
হল শিশির অধিকারীকে। নতুন দায়িত্বে এলেন সোমেন মহাপাত্র। তবে এখনই অধিকারী
পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করেনি শাসকদল। পূর্ব মেদিনীপুরের বর্ষীয়ান
এই তৃণমূল নেতা জেলার কোর কমিটির চেয়ারম্যান পদেই রয়েছেন।
এবিষয়ে
শিশিরের পুত্র বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, তৃণমূল কর্মচারী খোঁজে।
যাঁরা কর্মচারী হতে চান না, তাঁরা বেরিয়ে আসবেন। এটা তৃণমূলের ব্যাপার।
এব্যাপারে কোনও মন্তব্য নেই। যাঁরা করছেন তাঁরা বলতে পারবেন। তবে এই
প্রেক্ষিতে শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সেবিষয়ে স্পষ্ট করে
কিছু না বললেও শুভেন্দু বলেন, 'আমি তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড
কোম্পানি করি না। এটা তাঁদের দলের ব্যাপার। ওঁরা কর্মচারী খোঁজে, খুঁজে
নেবে। যাঁরা কর্মচারী হয়ে থাকতে চান না, তাঁরা বেরিয়ে আসবেন। আমি কী
রাজনীতি করব আমার পরিবার বলে না, আমার বাবা-মা কী রাজনীতি করবে সে বিষয়ে
আমি বলব না। আমার বাবা-মা সুস্থ থাকুক এটাই চাইব।'
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারীকে অপসারণ করেছিল নবান্ন। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে অখিল গিরিকে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। বদল করা হয়েছে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তাম্রলিপ্ত ও এগরা পুরসভার প্রশাসককেও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশাসনিক পদ থেকে অধিকারী পরিবার ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের অপসারণের কাজ শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। দলের সংগঠন সহ বিভিন্ন পদে অখিল গিরি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের দায়িত্ব বৃদ্ধি তারই ইঙ্গিত।
Post a Comment
Thank You for your important feedback