ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্টের বিচারে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন হেস্টিংস। ব্রিটিশ আমলে ১৭৭২ থেকে ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত ছিল তাঁর শাসনকাল। এতদিন পরে আবার তাঁর নাম এল ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্টের সূত্র ধরেই।
এখন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্টের বিচার চলছে মার্কিন সিনেটে। জানুয়ারিতে ক্যাপটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর ট্রাম্পকে একবার ইমপিচ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে সিনেট। সেই বিচার চলছে। ক্ষমতা ছাড়ার পর একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিচার কী করে হবে, এই প্রশ্ন নিয়ে বিতণ্ডা হয়েছে। বিচারের সমর্থনে একাধিক দৃষ্টান্ত আনা হয়েছে সামনে।
তাদেরই একজন ভারতের গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম নির্মাতা হেস্টিংস। ১৭৮৫ সালে তিনি পদত্যাগ করে ব্রিটেনে ফিরে যান। তারপর তাঁর শাসনকালে নানা অপরাধে তার বিরুদ্ধে বিচার হয় এবং তাঁকে ইম্পিচ করা হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অফ কমনসে সেই বিচার হয়। ওয়ারেন হেস্টিংসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তহবিল তছরুপ, তোলাবাজি এবং বিচারের সাহায্যে মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসির। নন্দকুমারের ফাঁসির পর গোটা বাংলায় তোলপাড় হয়েছিল। তবে সেই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন হেস্টিংস।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা বলেছেন, মার্কিন সংবিধান প্রণেতারা হেস্টিংসের বিচার সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। অবসরের পর ইম্পিচমেন্টের বিচার করার সুযোগ ছিল। আমেরিকার সংবিধান চালু হয়েছিল ১৭৮৭ সালে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback