কয়লা পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তাঁর স্ত্রী রুজিরা এবং শ্যালিকা মনিকা গম্ভীরকে একবার ডিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর কেটে গিয়েছে দু’দিন। বৃহস্পতিবার বনগাঁর ঠাকুরনগরে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেরই কৌতুহল ছিল তিনি এই বিষয়ে মুখ খোলেন কিনা। এবং প্রত্যাশা মতোই ঠাকুরনগরের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি এবং সিবিআইকে তোপ দাগলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘আমার পিছনে সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স- আরও যারা যারা আছে, আমার পিছনে লাগান। কিন্তু মেরুদণ্ড বিক্রি করব না, মাথা নত করব না’।
এরপরই বলেন, জেনে রাখুন আমার গলা কেটে দিলেও একটা কথাই বেরোবে-
‘জয় বাংলা’। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে সচতুরভাবে
টেনে আনলেন চিনা দখলদারি প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, অরুণাচলের একের পর এক গ্রাম
দখল করছে চিন। গালওয়ান উপত্যাকার জমিও দখল করে নিয়েছে চিন। কিন্তু
প্রতিবেশী দেশ যেই থাকুক, চিন, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ যোগ্য জবাব দেওয়া
উচিৎ ছিল। এরপরই তিনি বলেন, আর বলছে আমাদের জয় বাংলা নাকি বাংলাদেশের
স্লোগান। আমাদের বাংলাদেশি বলে দিচ্ছে। কেন তোমরা যে ‘সোনার বাংলা’ করবে
বলছ, সেটা কোথাকার স্লোগান? সোনার বাংলা করতে চাইছ? তা হলে সোনার
উত্তরপ্রদেশ হয়নি কেন? এরপরই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের তোপ দাগেন তৃণমূল যুব
সভাপতি। তিনি বলেন, আপনারা কয়েক মাস আগে বিজেপির প্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে
জিতিয়েছেন, করোনার সময় তাঁদের দেখতে পেয়েছেন? কাউকে দেখা যায়নি। কে
এসেছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন। অথচ গত কাল মোতেরাতে একটা স্টেডিয়াম
উদ্বোধন করেছেন। জীবীত প্রধানমন্ত্রীর নামে আস্ত স্টেডিয়াম হয়ে গেল।
সবশেষে তিনি বলেন, যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় জীবীত আছেন,
আপনাদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback