আজকের কর্পোরেট যুগে এই 'ডার্বি' বা ‘চির প্রতিদ্বন্দ্বী’ কথাগুলো ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। এর ওপর করোনা আবহে গোয়ায় শূন্য স্টেডিয়ামে হল ডার্বি ম্যাচ। এখন বিদেশে আর তথাকথিত ডার্বি নেই, কারণ ইউরোপের লিগগুলিতে প্রায় প্রত্যেকটি দলই এখন শক্তিশালী, কার্যত উনিশ-বিশ। আর কে কখন সেরার স্থান দখল করবে সেটা নির্ভর করে দলের খেলোয়াড়দের ক্রীড়াশৈলীর উপর। ফলে চিরাচরিত ডার্বি কালচার মূলত হারিয়ে যেতে বসেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আইএসএল মঞ্চে দ্বিতীয় ডার্বি হয়ে গেল। সোশাল মিডিয়ায় সেভাবে উত্তাপ দেখা গেল না। এসসি ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে-মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল আইএসএল ডার্বিতে। কিন্তু খেলায় শতবর্ষে পা দেওয়া এসসি ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত হাবুডুবু খেতে দেখা গেল। তাঁরা ৩-১ গোলে পরাজিত হল এটিকে-মোহনবাগানের কাছে।
যদিও এই ফল দেখে বোঝা যাবে না কে কেমন খেলেছে। ইস্টবেঙ্গল আক্রমনাত্বক ফুটবল খেললেও, রক্ষণভাগের চরম দুর্বলতায় ম্যাচ হারলো। ম্যাচ শেষে কাটাছেঁড়ায় সোশাল মিডিয়া কিছুটা উত্তপ্ত হল। সেই সঙ্গে পুরোনো স্লোগান ফিরে ফিরে এল। ‘যতবার ডার্বি, ততবার হারবি’ স্লোগানে লাল-হলুদ সমর্থকদের বিদ্ধ করলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অনেকেই লিখলেন, আসলে রবি ফাউলার দলটাকে দাঁড় করাতেই পারেননি এই দুই মাসে। ফলে যা হওয়ার হল।
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের
মতে, আইএসএল-এর মত পেশাদারি ফুটবল লিগে এসসি ইস্টবেঙ্গল দলটাই সঠিকভাবে
গঠন করতে পারেনি। যদিও শেষ মুহুর্তে নথিভূক্ত হওয়ায় ক্লাব কর্তা ও
ইনভেস্টররা সেভাবে সময় এবং উপযুক্ত ফুটবলার পায়নি। তবুও রবি ফাওলার যে
কয়েকজন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার নিয়ে এসেছেন তাঁরাও সেভাবে মেলে
ধরতে পারছেন না নিজেদের। অনেকেই বলছেন, এই দল নিয়ে কলকাতা লিগে খেলা যায়,
হয়তো খেলে দেবে ফেডারেশন কাপেও। কিন্তু এই ধরণের পেশাদারি টুর্নামেন্টে
কিছুতেই নয়। অন্যদিকে এটিকে-মোহনবাগান দলটিতে রয়েছেন রয় কৃষ্ণ, ডেভিড
উইলিয়ামসের মতো আইএসএল তারকা। তাদের আইএসএল খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। তাই এবারও
আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌঁড়ে হট ফেভারিট এটিকে-মোহনবাগান। আর জোড়া
ডার্বি হেরে খাদের অতলে এসসি ইস্টবেঙ্গল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback