বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে জোটসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়া কেন্দ্রীয় স্তরের কোনও নেতাকে এদিন ব্রিগেডে দেখা গেল না। যদিও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ছিলেন এদিনের ব্রিগেড মঞ্চে। এদিন নিজের ভাষণের প্রথম থেকেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন অধীর চৌধুরী। অকপটে বললেন, এত বড় সভায় বক্তৃতার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম। বোঝাই যাচ্ছে আগামী দিনে তৃণমূল, বিজেপি থাকবে না, শুধু সংযুক্ত মোর্চা থাকবে। তাঁর কটাক্ষ, ‘ইয়ে স্রেফ ঝাঁকি হ্যায়, সরকার বদলনা বাকি হ্যায়’।
এরপরই তিনি ব্রিগেডের জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিজেপির আগ্রাসন রুখতে হবে, তৃণমূলের অপশাসনকেও রুখতে হবে’। অধীর আরও বলেন, মোদি ও দিদির রাজনৈতিক ডিএনএ এক। দু'জনেই গণতন্ত্রকে খুন করেছেন। তেলের দাম কমাতে উদ্যোগী নয় কেউই। মমতা লিটারপিছু মাত্র এক টাকা কমিয়েছেন। উনি মনে করলে, ১৫ টাকা কমাতে পারতেন। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার এক লিটার পেট্রলের দাম ১২ টাকা এবং লিটারপিছু ডিজেলের দাম চার টাকা কমিয়েছে। অধীরের অভিযোগ, ‘গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় এসে এঁরা গণতন্ত্রেরই গলা টিপে ধরছেন। দিল্লিতে মোদি বলেন, বিরোধী শূন্য চাই, আর বাংলায় দিদিও তাই বলেন’। এরপরই জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে অধীর বলেন, বিরাট কোহালি এবং নরেন্দ্র মোদী দু’জনেই সেঞ্চুরি করছেন। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল আবার কেন্দ্রীয় সরকারকেই বিঁধলেন বারবার।
তিনি বললেন, বাংলায় আসা তীর্থযাত্রার থেকে কম নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতাজির জন্মদিনে
‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে পালন করছেন। ওঁকে বলব, আপনি ইতিহাস উল্টে দেখুন। যখন
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আইএনএ তৈরি করছিলেন, তখন সাভারকর, শ্যামাপ্রসাদ
মুখার্জিরা ইংরেজদের হয়ে কাজ করছিলেন। আপনি কখনই নেতাজির উত্তরাধিকারী হতে
পারেন না’। এরপরই সুর আরও চড়িয়ে বাঘেলের প্রশ্ন, মোদীজি বলেছিলেন, দেশ
বিক্রি হতে দেব না। কিন্তু আজ রেলস্টেশন, বিমানবন্দর সবই বিক্রি করছেন।
বলেন কংগ্রেস কিছুই করেনি? তা হলে এই রেলস্টেশন, বিমানবন্দর কারা তৈরি করল?
এরপরই তিনি নতুন স্লোগান তুলে দিলেন, ‘পহেলে লড়ে থে গোরো সে, আব লড়েঙ্গে
চোরো সে’।
Post a Comment
Thank You for your important feedback