নবান্ন অভিযানে অংশ নেওয়া সিপিএমের যুব সংগঠনের এক নেতার মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল। সোমবার সকালে শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে ওই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার। বামেদের দাবি, ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, পুলিশের মারে ৩১ বছরের মইদুলের শরীরের একাধিক মাংসপেশিতে গুরুতর আঘাত লাগে। পেটে, পিঠে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারই জেরে তাঁর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। জল জমে ফুসফুসে। এদিন সকাস সাতটা নাগাদ মারা যান বাঁকুড়ার কোতলপুরের মইদুল। এই ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার কথাও বলেছেন বাম নেতারা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, এটা খুন। বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে! সরকার ভয় পেয়েছে। সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের অভিযোগ, পুলিশ মাথা ও বুক লক্ষ্য করেই লাঠি চালিয়েছে। দেহে লাঠির দাগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামপন্থী কর্মী। এখনওসন্ধান পাওয়া যায়নি তাঁর। গত বৃহস্পতিবার চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। সেখানেই জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মী। এস এন ব্যনার্জি রোডে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ জানাতে মৌলালিতেও অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানেও লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের এই হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামেরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback