নাহ, কাগজের রোল নয়, ফিল্মেরও নয়, এটি আদন্ত বাঙালির অতি পরিচিত এক মুখরোচক জলখাবার। চিকেন, মাটন বা এগ রোলের কথা বলছি, যার দোকান প্রতিটি পাড়ার মোড়েই দেখতে পাওয়া যায়। আট থেকে আশি কে না খেয়েছে বা খায় জ্বিভে জল আনা রোল। বেশ কয়েক বছর ধরে ভেজ রোলও পাওয়া যাচ্ছে। এটাতে ডিম, চিকেন বা মাটন থাকে না, থাকে পনির ও সবজি। কিন্তু কখনও ভেবেছেন এই রোলের জন্ম কোথায় ? আমাদের বাঙালি বাড়িতে এক সময়ে রুটির মধ্যে তরকারি দিয়ে গোল করে মুড়িয়ে খেতে দেওয়া হতো। অনেক সময়ে মিষ্টির পুর দিয়েও রুটির রোল খেত বাঙালি। যা কিনা তাড়াহুড়ো থাকলে আজও খায় অনেকে। ভাবনাটা কার্যত ওইভাবেই এসেছে, কিন্তু একটা গল্প আছে এর পিছনে।
কলকাতার নিউ মার্কেটের উল্টো দিকে বহু পুরাতন এক রেস্টুরেন্ট আছে, নাম তাঁর 'নিজাম’। বহু বাঙালির যাতায়াত ছিল বা আছে ওই দোকানে। ব্রিটিশ আমলে এই রেস্টুরেন্টের জন্ম। এক সময়ে ওই রেস্তরাঁয় কাবাব, হালিম, পরোটা খুব বিখ্যাত ছিল। একবার এক ইংরেজ সাহেব দোকান বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে ওই দোকানে ঢুকে জানালো যে সে খুব ক্ষুদার্থ, এখনই কিছু খাবার চাই। ফলে মহা বিপাকে পড়লেন দোকানের মালিক। সাহেবরা হাত দিয়ে খায় না অথচ পরোটা কাবাব কাটা চামচ বা ছুরি দিয়ে কেউ খায় না। তবে উপায়? দোকানী বুদ্ধি করে কাবাব, স্যালাড ওই পরোটার মধ্যে পুরে রোল বানিয়ে কাগজে মুড়ে সাহেবকে খেতে দেন। সাহেব তো খেয়ে খুব আল্হাদিত হলেন। ফের পরদিন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সন্ধ্যায় দোকানে এসে হাজির বললেন, রোল লাও। ফের বানিয়ে দেওয়া হলো পরোটার মধ্যে কাবাবের পুর দেওয়া রোল। তারপর থেকে রোল চালু হয়ে গেল শহর কলকাতায়। এই নিজামই রোলের আবির্ভাব ঘটায় যা আজ এলাকায় এলাকায় পাড়ার দোকানে সহজেই পাওয়া যায়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback