বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত এক ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সোমবার ভোরেই মইনুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয়েছে। বামেদের দাবি, পুলিশের লাঠির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কংগ্রেস নেতৃত্বও একই দাবি করছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি নেতারাও। বিধানসভা ভোটের আগে এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
সোমবারই নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘মৃত্যু সবসময় দুঃখের। আমি সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। বলেছি, কীভাবে মারা গিয়েছে সেটা পোস্টমর্টেম হওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি ২ দিন আগে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাদের একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি’।যদিও বাম নেতৃত্বের দাবি, প্রকৃত তদন্ত করতে হবে। দেহ লোপাট করা হতে পারে এই আশঙ্কায় বাম যুব কর্মীরা সকাল থেকেই হাসপাতাল এবং মর্গের সামনে পাহারায় বসেছিলেন। তাঁরাও বলে দিয়েছেন এর শেষ দেখে ছাড়বেন। সোমবারই কলকাতার পুলিশ মর্গে মইনুলের দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। বছর একত্রিশের মইদুল ছিল বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। স্ত্রী দুই কন্যা ছাড়াও রয়েছেন বৃদ্ধা মা। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে মানুষটার মৃত্যুতে তাঁদের মাথার ওপর বাজ পড়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback