মায়নমারে সেনা অভ্যুত্থান। দেশের শাসনভার তুলে দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার ইন চিফ মিন আং হ্লাইংয়ের হাতে। একবছরে জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সোমবার ভোরে সে দেশের সামরিকবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে আং সান সুচি। শাসক ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বা এনএলডি-র শীর্ষ নেতাদেরও আটক করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সুচি-র দলের সঙ্গে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সংঘাত তীব্র হয়েছিল। যে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সুচি, সেনার মতে, তা জালিয়াতির নির্বাচন। মায়নমারের নির্বাচন কমিশনের দাবি, ভোট সম্পূর্ণ বৈধভাবেই হয়েছে। এনএলডি-র মুখপাত্র মিও নুন্ট উত্তেজিত না হয়ে সবাইকে আইন মেনে কাজ করতে বলেছেন। তিনি নিজেও গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন।
নভেম্বরের ভোটে বিপুলভাবে জয়ী হয় সুচি-র দল। সোমবার সেদেশের সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। এব্যাপারে সোনাবাহিনীর কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ইয়াঙ্গনের সিটি হলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সেনা জওয়ান। কারিগির ত্রুটির কারণ দেখিয়ে সরকারি টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছে সম্প্রচার।
নোবেল পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছরের সুচি দীর্ঘ কয়েক দশক গৃহবন্দি থাকার পর ২০১৫ সালে নির্বাচনে বিপুল গরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছিলেন। তবে পরে তাঁর আন্তর্জাতিক সম্মান অনেকটাই ক্ষুন্ন হয়েছিল মায়নমানের রোহিঙ্গাদের গণহত্যার ঘটনা সামনে আসার পর।
মায়নমারের সংবিধানে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরও তাদের হাতে। চিন মায়নমারের সেনাবাহিনীর পাশে থাকলেও আমেরিকা সেনার এই পদক্ষেপের বিরোধী। তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback