প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট আদালতে নতুন সব তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হয়েছে। আগে দেখা যায়নি এমন সব ছবি-ভিডিওর পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষা বাহিনীর রেকর্ড তুলে ধরে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলার ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ভয়াবহ হামলার জন্য ট্রাম্পের সরাসরি দায় রয়েছে বলে ডেমোক্রাটদের পক্ষ থেকে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। হামলার সময় ট্রাম্প সমর্থকরা সেসময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নাম ধরে খোঁজ করছিল। মাইক পেন্স ও সিনেটর মিট রমনির রক্ষা পাওয়ার কয়েক মুহূর্তের ভিডিও দেখা গিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলার সময় এই হামলার মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে মাইক পেন্স, ন্যান্সি পেলোসিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।
বুধবার দুপুরে মার্কিন সেনেটের প্রবীণতম সদস্য প্যাট্রিক লেহির সভাপতিত্বে আদালতের দ্বিতীয় দিনের কাজ শুরু হয়। সেখানেই পরপর এইসব ভিডিও দেখানো হয়। ডেমোক্রাটদের তরফে বলা হয়েছে, হিংসার অভিযোগে গ্রেপ্তার লোকজন হলফনামা দিয়ে ঘটনার সঙ্গে তাঁদের যুক্ত থাকার কথা কবুল করেছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেশের আইনপ্রণেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়। একইসঙ্গে বলা হয়, তিনি দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি ভাইস প্রেসিডেন্টের জীবনকেও বিপন্ন করে তুলেছিলেন। ট্রাম্প অনেক আগে থেকেই লোকজনকে প্ররোচিত করে আসছিলেন। আর তার চূড়ান্ত পরিণতিতেই ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়। অন্যদিকে, ইম্পিচমেন্টের বিচার নয়, রাজনৈতিক বিচার কাজ চলছে বলেও রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে অনুযোগ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাঁর বিরুদ্ধে সিনেটে দ্বিতীয় দফা ইম্পিচমেন্ট বিচার চলছে। এই প্রস্তাব গ্রহণের সময় ১০ জন রিপাবলিকান সিনেটর ট্রাম্পের পক্ষে ভোট প্রদান করেছিলেন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback