বাংলায় কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। রেল-সড়কের উন্নয়নে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। আপনাদের মেট্রো উপহার দিচ্ছি। এতদিন বাংলার কোনও উন্নয়ন হয়নি, তাই আর দেরি করলে চলবে না, বাংলার উন্নয়নের লক্ষ্যে আসল পরিবর্তন চাই বাংলা। হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ মাঠে জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপি সরকার গঠনের জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান জানালেন নরেন্দ্র মোদি।
এদিন সাহাগঞ্জের মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী বলেলন, এর আগের কোনও সরকারই উন্নয়নে নজর দেয়নি। তাই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে বাংলার মানুষ। এদিন বাংলাতেই নিজের ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হুগলি ও বাংলার ঐতিহ্য, কৃষি, শিল্পের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করেন ভাষণের শুরুতেই। বলেন, তারকনাথ এবং জগন্নাথ দেবকে আমার প্রমান। হুগলির এই পূণ্যভূমিতে এসে আমি ধন্য। এরপরই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী কাটমানি ও তোলাবাজির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, সিন্ডিকেট এবং কাটমানি ছাড়া এই বাংলায় কেউ বাড়ি ভাড়াও নিতে পারেন না। ফলে বাংলার বিকাশ কোনও দিনই সম্ভব না, যতদিন না এই তোলাবাজি এবং কাটমানির সংস্কৃতি থাকবে। প্রশাসন যত দিন গুন্ডাদের আশ্রয় দিয়ে যাবে, তত দিন এখানে উন্নতি সম্ভব নয়। আর নয় অন্যায়, আমরা আসল পরিবর্তন চাই।
হুগলি নদীর দুই পাড়ে পাট শিল্পের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন বাংলার পাট গোটা দেশের চাহিদা মেটাতো। কিন্তু রাজনীতি জন্য সেই সমৃদ্ধ শিল্পকেও বাঁচাতে পারেনি। এখন কেন্দ্রীয় সরকার ফের বাংলাক পাট শিল্পকে নতুন করে বাঁচাতে চাইছে। এরপরই মোদি বলেন, হুগলির আলুচাষীদের কী অবস্থা, তা-ও কারও অজানা নয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাংলার মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না। আর এটা নিয়ে বাংলার তৃণমূল সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। এরপরই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলার ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে মাত্র ৯ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে তৃণমূল সরকার। বাকি ১১০০ কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই মোদি বলেন, আমার বিশ্বাস, একজোটে বাংলার কৃষক, শ্রমিক এবং যুবকদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারব আমরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback