করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় ১১ মাস পর রাজ্যে স্কুল খুলল শুক্রবার। কিন্তু এদিনই বাম সংগঠনগুলির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের জেরে অশান্তির ভ্রুকুটি ছিল। অনেকেই ইচ্ছা থাকলে স্কুলে আসতে পারেনি। তবুও রাজ্যের সমস্ত স্কুলেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালু হয়ে গেল এদিন। সমস্ত কোভিডবিধি মেনে চালু হল স্কুল। তবে এতদিন পর স্কুলে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা। শিক্ষাদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৬ হাজার সরকারি ও সরকার পোষিত মাধ্যমিক স্কুল এবং প্রায় ১৪ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং ৬৩৬টি মাদ্রাসা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই সমস্ত স্কুলেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালু হল। যদিও করোনা কালে স্কুলে ক্লাস চালু করার জন্য ৫০ পাতার নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, এই সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের। মূলত, কঠোরভাবে কোভিড বিধি মানতে হবে বলেই জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। সকলকে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার। পালন করতে হবে দূরত্ব বিধি। এমনকি বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করে খাওয়া যাবে না টিফিন।
যদিও স্কুল খোলার প্রথম দিনেই বাংলা বনধে কিছুটা সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ারা। দফায় দফায় চলা রেল ও রাস্তা অবরোধের জেরে অনেকেই আটকে পড়ে। ফলে অভিভাবক থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের চোখে মুখে ছিল আতঙ্ক। অনেকেই বাড়ির পথ ধরেন স্টেশন থেকে। তবে এত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও স্কুল খোলায় স্বস্তি ফিরেছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। কারণ অনলাইনে ক্লাস চললেও স্কুলে যেতে না পারায় প্রিয় শিক্ষক এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় মন খারাপ ছিল তাঁদের। এবার স্কুল খুলে যাওয়ায় খুশি সকলেই। তবে নিচু শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনই খুলছে না স্কুল। যদিও রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অধিকাংশ স্কুলেই সরস্বতী পুজো হবে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback