হঠাৎ করেই লোকসভার পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো সংসদ অধীর চৌধুরীকে। কেন তাঁকে সরানো হল, তার সঠিক ধারণা নেই কারোর কাছে। যদিও কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে বংলায় ভোটে বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। তাই তাঁকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হল। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে জল্পনা অন্য। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর অধীরবাবু মন্তব্য করেছিলেন, ‘উনি (মমতা) নাটক করছেন’। এরপরই নড়েচড়ে বসে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের অন্যতম মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে জানিয়েছিলেন, ‘এটা অধীরবাবুর ব্যক্তিগত মন্তব্য, দলের নয়’। এমনকি অধীরের বক্তব্যের নিন্দাও করা হয় কংগ্রেসের তরফে। এরপর অধীরবাবুর সঙ্গী লোকসভার সাংসদ মনীশ তিওয়ারি জানান, মমতার আঘাতে আমরা দুঃখিত, তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তিনি বলেন, মমতা দেশের জনপ্রিয় নেত্রী এবং দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মমতার সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিয়োগ করা হয়েছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার সাংসদ রবনিত সিং বিট্টুকে | একদিকে যেমন মমতার সুস্থতা কামনা করে মোদি, অমিত শাহ যেমন শুভেচ্ছা বার্তা দেননি তেমনই গান্ধি পরিবার থেকেও কোনও বার্তা আসেনি। তবুও অধীরের বক্তব্য সমর্থন না করে তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার মধ্যে ধোঁয়াশাই দেখছেন রাজনৈতিক মহল। তবে কি মমতার আঘাতে আড়াআড়ি বিভক্ত জাতীয় কংগ্রেস? হয়তো আসন্ন নির্বাচনের জন্যই এই পরিস্থিতি কংগ্রেসের।
Post a Comment
Thank You for your important feedback