সোমবারই মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতেই যোগ দিলেন। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে গেলেন মালদা জেলা পরিষদের আরও ১৪ জন সদস্য। ফলে এই জেলা পরিষদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, আজ থেকে মালদা জেলা পরিষদ তাঁদের দখলে। এই প্রথম তাঁরা কোনও জেলা পরিষদ তাঁদের দখলে এল। উল্লেখ্য, তৃণমূলের হাবিবপুরের প্রার্থী সরলা মুর্মু এদিনই যোগ দিলেন বিজেপিতে। কোনও ঘোষিত প্রার্থী দলবদল করলেন এটাও নজিরবিহীন। যদিও ঘটনার আঁচ পেয়ে সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ সরলাকে সরিয়ে তৃণমূল প্রদীপ বাস্কেকে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে কোনও রকমে মুখ রক্ষা করে। তবুও জেলা পরিষদে ভাঙন রোধ করতে পারল না শাসকদল।
সরলা মুর্মুর সঙ্গেই জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য ও সভাপধিপতি যোগ দিলেন বিজেপিতেই। মালদা জেলায় তৃণমূলের এই বড় ভাঙনের নেপথ্যে অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বৈঠক করেছে তৃণমূল হাইকমান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো গেল না। এদিন মালদা জেলায় তৃণমূল সভানেত্রী মৌসুম বেনজির নূর জানান, দলবদল করা জেলা পরিষদের সদস্যদের বহিস্কার করেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন দাবি করেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৮ আসেনর মালদা জেলাপরিষদে ৬টি আসন জিতেছিল বিজেপি। পরে আরও ৩ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। আজ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন যোগদান করলেন। এর ফলে মালদা জেলাপরিষদে বিজেপির সদস্যসংখ্যা বেড়ে হল ২৩। তাই মালদা জেলা পরিষদ তাঁদের দখলেই চলে এল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback