নন্দীগ্রমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের আঘাতের ঘটনার জেরে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।এবার মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সরানো হল। সেইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক (ডিএম) এবং পুলিশ সুপারকেও (এসপি) অপসারণ করা হয়েছে। গত বুধবার নন্দীগ্রামে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে আহত করার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেছিল নির্বাচন কমিশন। মমতা ‘জেড প্লাস’ ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান। প্রশ্ন ওঠে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই দেহরক্ষী এবং রাজ্য সরকারের স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিটের (এসএসইউ) সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও। প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁকে চার-পাঁচ জন যুবক এসে ধাক্কা মারতে পারেন? বা সকলের সামনে গাড়ির দরজার তাঁর পা জখম হল সেটা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে গোটা বিষয় তদন্ত করার জন্য দুই শীর্ষ পর্যবেক্ষককে আকুস্থলে পাঠানো হয়। কমিশনের তরফে দুই পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে ঘটনাস্থল ঘুরে কমিশনকে রিপোর্ট পেশ করেন। নির্বাচন কমিশনকে আলাদা আলাদা রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী দফতরও (সিইও)। সব রিপোর্ট নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিবেক সহায়কে সরিয়ে দেওয়ার। পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভূ গোয়েল এবং পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশকে। নতুন জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন স্মৃতি পাণ্ডে এবং পুলিশ সুপার হলেন সুনীল কুমার যাদব। অপরদিকে জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রাম থানার ওসি সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback