বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতের একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় ররেছে বিজেপি। দেশকে কার্যত বিরোধীশূন্য করেছে তাঁরা। এবারে তাঁদের টার্গেট কী শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল? সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি এই দাবি করেছিলেন। এবার সেটাই কি সত্যি হতে চলেছে? জানা যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা অধিবাসী জনৈক তামিল ব্যবসায়ী বেলুস্বামী মুথুস্বামী গত শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, জাফনার দিকে তাকিয়ে এবং লক্ষ লক্ষ তামিল অধিবাসীদের তাকিয়ে তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করছেন। জানা গিয়েছে নতুন দলটির নাম হতে পারে ‘ভারতীয় জনতা কাটচি’ অথবা শ্রীলঙ্কা ভারতীয় জনতা পার্টি (SLBJT)।
শ্রীলঙ্কায় মূলত দুই ধরণের অধিবাসীর বাস, একটি আদি শ্রীলঙ্কাবাসী অন্যটি উদ্বাস্তু ভারতীয় তামিল। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই বসবাসকারীর মধ্যে ঘরোয়া যুদ্ধ লেগেই ছিল। উল্লেখ্য, আশির দশকের মধ্যভাগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি তামিলদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার সরকারি দলকে সমথন করেন। তাতে আরও সমস্যা বাড়েছিল। রাজীব গান্ধি এই তামিল আন্দোলনকারীদের হাতেই প্রাণ দেন। এরপর অবশ্য সরকারিভাবে শ্রীলঙ্কানরা জাফনা দখল করে এবং শোনা যায় যে এই দখলের পিছনে চীনের সহযোগিতা ছিল। বর্তমানে এই দেশ চীনের সাহায্যের উপর নির্ভর করে ব্যবসা বাণিজ্য চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রে ‘SLBJT’ রাজনৈতিক দল গঠন করায় জল্পনা আরও বাড়ছে।
যদিও জাফনা প্রেসক্লাবে হোটেল ব্যবসায়ী মুথুস্বামী জানান, ‘ভারতের বিজেপির সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। কিন্তু আমি মাননীয় নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করি। উনি উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এবং তার ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই বিজেপি সংগঠন বিস্তার করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় বা প্রধান বিরোধী দল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির এখন লক্ষ্য পড়শি দেশগুলিতেও বিজেপির বিস্তার। এরফলে পাকিস্তান ও চিনকে চাপে রাখা সম্ভব, তাই কি বিজেপির এই তৎপরতা? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback