প্রাক্তন আইএএস যশবন্ত সিনহা। দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদে ছিলেন, পরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯৯ সালে সেইসময়ের প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন। পরে জনতা পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে খুব দ্রুত বাজপেয়ী এবং আদবানির প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। বাজপেয়ীর নেতৃত্বে এনডিএ ক্ষমতায় এলে যশবন্তকে প্রথমে অর্থ এবং পরে বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের এই রাজপুত নেতার পরিবার শিক্ষা এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। যশবন্তের এক পুত্র রাজনীতিতে আসেন এবং মোদির মন্ত্রিসভায় স্থান পান অন্য পুত্র আমেরিকায় এক বড় সংস্থায় উচ্চপদে আসীন। এই যশবন্ত সিনহাই এখন বঙ্গ রাজনীতির চালচিত্রে। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
মোদি ক্ষমতায় আসার পরই বাজপেয়ীর প্রিয় পাত্ররা একে একে সরে যেতে শুরু করেন। যশবন্ত, শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ প্রমুখরা বিজেপিতে ব্রাত্য হতে শুরু করে। এরা ক্রমশই দলের বোঝা হয়ে ওঠার জেরে দল ছাড়েন সবাই। অনেকদিন ধরেই মমতার পাশে ছিলেন যশবন্ত। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার তৃণমূলে যোগ দেন। আপাতত বিধানসভায় দাঁড়াচ্ছেন না তবে শোনা যাচ্ছে, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। এখন তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হল এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি করা হল। বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ এই রাজ্যের ভোটার সংখ্যাটা ৬০ লক্ষেরও বেশি। যশবন্তকে এই সব অঞ্চলে প্রচারে পাঠানো হবে বিধানসভা ভোটের প্রচারে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback