ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনের বাংলাদেশ সফর ছিল। ২৬ ও ২৭ মার্চ দুদিনের সফর কিরে তিনি পড়শি দেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন। এরপরই উত্তাল হয়ে উঠল বাংলাদেশ। কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা রীতিমতো তাণ্ডবলীলা চালাল বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়। আক্রান্ত হয়েছে একশোর বেশি মন্দির। পাশাপাশি রেললাইন, ট্রেন ও স্টেশনেও তান্ডব চালিয়েছে কট্টরপন্থীরা। রেল লাইনের নাটবল্টু খুলে নেওয়ায় এবং কয়েকটি ট্রেনে ভাঙচুর চালানোর পর ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালির মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রথমে ব্রাহ্মণবেড়িয়া স্টেশনে ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এরপর ব্রাহ্মণবেড়িয়া ও আশুগঞ্জ স্টেশনের মাঝে একটি রেল সেতুতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় রেল লাইনের ওপর কংক্রিটের স্ল্যাব রেখে হরতাল শুরু হয়। সবমিলিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বাংলাদেশে। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেন। পরে এই হিংসা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। সূত্রের খবর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
গোটা বাংলাদেশে একশোর বেশি মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির সফর চলাকালীন কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠন হেফাজত-ই-ইসলাম বিক্ষোভ দেখায় ঢাকার রাস্তায়। সেদিনই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শনিবারও পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ও রবার বুলেট ব্যবহার করতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের থামাতে। রবিবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে মৌলবাদী সংগঠন হেফাজত-ই-ইসলাম দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছিল রবিবার। সেই হরতাল সফল করতে রাস্তায় নেমে কয়েক হাজার সদস্য কার্যত তাণ্ডবলীলা চালায়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি উত্তাল বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলা। রাস্তা, রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন ছাড়াও দুটি বসে আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁরা। বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলায়। এমনকি ব্রাহ্মণবেড়িয়া প্রেসক্লাবের ভবনে অগ্নিসংযোগ করে প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে মারধর করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ করোনা টিকা তুলে দেন। এরপরেও কট্টরপন্থী মৌলবাদী সংগঠন এর বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামে।
rokto jmn temon kaji hobe
ReplyDeleteমিথ্যা সংবাদ, একটি মন্দিররেও হামলা করা হয়নি।
ReplyDeletePost a Comment
Thank You for your important feedback