আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এলাকায় ঢুকলেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে গো ব্যাক ধ্বনি দিতে থাকেন তাঁরা। প্রতিবাদ করেন বিজেপি সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় বচসা, পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যায়। তিনজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে, তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অশান্ত নন্দীগ্রাম। দফায় দফায় গোলমাল চলছে।
বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী জনসংযোগে যাওয়ার আগে নন্দীগ্রাম থানার কালিচরনপুর ২৩৬ নম্বর বুথ এলাকায় বিজেপির মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের মারধোর ও পতাকা, ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের তির। যদিও তৃণমূলের বাধা উপেক্ষা করে নন্দীগ্রাম সোনাচুড়া মধ্যপল্লী এলাকায় জনসংযোগ ও প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে তিনি গোকুলনগর গাড়ুপাড়া এলাকায় যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার নন্দীগ্রাম এর বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দুকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ভিড়ও ছিল, সেই সময়ই সোনাচূড়া বাজার আচমকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ী সেখানে পৌঁছাতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তাঁর গাড়ি ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল সমর্থকরা। এমনকি অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলাও চালানো হয়েছে।
শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা। আহত হন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। বিজেপির অভিযোগ, রড, বাঁশ, ইট নিয়ে আক্রমণ চালানো হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁকে নন্দীগ্রামে আটকানোর জন্য তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলার ঘটনা চালিয়েছে। কিন্তু হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতা অখিল গিরি। তিনি জানান, তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। উল্লেখ্য নন্দীগ্রামে এবার তৃণমূল প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগ, এবার তৃণমূল বুঝে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হারবে। তাই পরিকল্পিতভাবেই হামলার ছক করছে তাঁরা। ঘটনাস্থলে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে উত্তেজনা এখনও আছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback