ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তৃণমূলের, কড়া জবাব দিল নির্বাচন কমিশন


বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতায় আনা হয়েছিল, এবং এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর বাঁ পায়ের হাড়ে চিড় ধরায় সেখানে প্লাস্টার করতে হয়েছে। গোটা ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বৃহস্পতিবারই তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। পাশাপাশি বিজেপিও পাল্টা চাপ দিয়ে নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছিল। যদিও নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার কমিশনে তৃণমূলের দাবি, 'এটি ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র'। এমনকি শাসকদলের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে সরানোর জন্যই এই ঘটনা। রাতেই এই দাবি খারিজ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।


রাতেই কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করে তুলোধনা করা হয়েছে ওই জবাবে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার কঠোর তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার জন্য শাসকদল ঘুরিয়ে নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছিল। তাঁদের দাবি, যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে, সেহেতু পুলিশ প্রশাসন এখন কমিশনের অধীনে। কিন্তু জবাবে কমিশন কড়া বার্তা দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এটা ঠিক নয় গোটাটাই কমিশনের আওতায়।


সংবিধানের ৩২৪ ধারার কথা উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র নির্বাচন পরিচালনাই করে। এটা ভুল যে রাজ্যের আইনশৃংখলার পুরো দায়িত্বভার নির্বাচন কমিশন নিয়ে নিয়েছে। আর ডিজি বদল নিয়ে কমিশনের উত্তর, পর্যবেক্ষকদের সুপারিশের ভিত্তিতেই ডিজি বীরেন্দ্রকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার যে যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেটা পূর্ণাঙ্গ  রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও ভাবেই বলা উচিৎ নয়। পাশাপাশি কমিশন এও জানিয়েছে, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। এটা দুর্ভাগ্যজনক বলেও উল্লেখ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post