হোর্ডিং ব্যানারে একচেটিয়া আধিপত্য নয়, কড়া নির্দেশ কমিশনের

 

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলের একচেটিয়া আধিপত্য দেখানো যাবেনা। এমনই কড়া নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে এটা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। শনিবার রাজ্যকে এই মর্মে নির্দেশ পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দেশের চারটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই প্রত্যেক রাজ্যেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

 এবার ভোট পরিচালনা করতে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার তাঁরা প্রচারে যাতে সব রাজনৈতিক দলই সমান সুযোগ পায় সেটা নিশ্চিত করতে চাইল কমিশন। শনিবার নির্বাচন কমিশন যে চিঠি পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট দলের হোর্ডিং, ব্যানার, কাট আউট-সহ প্রচারের বিভিন্ন মাধ্যম ছেয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি যাতে কোনও একটি দলের একচেটিয়া ক্ষমতার প্রকাশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সকলেই সমান সুযোগ পান, সেই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই রাজ্যজুড়ে শাসকদলের বিভিন্ন মাপের ব্যানার ও হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে।

এটা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। গোটা দেশের নজর এবার বাংলার নির্বাচনের দিকে। সূত্রের খবর,  তৃণমূল কংগ্রেস একচেটিয়া প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে বলে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই একটি স্লোগানকে সামনে রেখে শাসকদল ব্যানার-হোর্ডিং দিয়ে ছেয়ে ফেলেছে চারিদিক। ফলে বিরোধীরা জায়গা পাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। এবার নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিল যাতে সকলেই সমান সুযোগ পান।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post