স্ট্র্রান্ড রোডে রেলের ভবনে আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৯, তদন্ত কমিটি গঠন রেলের

 

পূর্ব রেলের দফতর নিউ কয়লাঘাটা বিল্ডিংয়ে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু বেড়ে হল ৯। আরও দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত আগুনে ঝলসে বা দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেলের ওই বহুতলের দুটি লিফট থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পূর্ব রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথি মণ্ডল। সূত্রের খবর দেহগুলি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।


 রাত একটা নাগাদ দেহগুলি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু সময় পর সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কয়লাঘাটায় গিয়েছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনে ঝলসে যাওয়ায় দেহগুলি শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু'তিনজনের দেহ চিহ্নিত করেছেন সহকর্মীরা। ময়নাতদন্ত রাতেই করা হয়। যা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শনাক্তকরণ ছাড়া কি আমরা পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পারি?’

 মৃতদের নাম, গিরীশ দে (৪০), গৌরব বেজ (৩৫), অনিরুদ্ধ জানা (২৯), বিমান পুরকাইত (২৪) এরা প্রত্যেকেই দমকলকর্মী। অমিত কুমার ভাওয়াল (৪৫) এএসআই, হেয়ার স্ট্রিট থানা। রেল রক্ষী বাহিনীর জওয়ান সঞ্জয় সাহানি এবং মৃত তিন রেলকর্মী হলেন, পার্থসারথী মণ্ডল (৫৯), সারওয়ান পাণ্ডে (৫৬) এবং সুদীপ দাস।


অপরদিকে রেল সূত্রে খবর, কয়লাঘাটা বিল্ডিংয়ে আগুনের ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই আগুনের কারণ খতিয়ে দেখবেন। অন্তর্ঘাত নাকি নিছক দুর্ঘটনা, সেটাও দেখা হবে তদন্তে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছিলেন। দমকল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়।



Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post