শ্যালিকা ও তাঁর মেয়েকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রেললাইনে আত্মহত্যা জামাইবাবুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার দুই নম্বর কলোনি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা অশান্তি চলছিল। শনিবার সন্ধ্যায় অশান্তি চরম আকার নেয়। এরপরই নিজের শ্যালিকা এবং তাঁর মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় জামাইবাবু। তাঁদের চিৎকার চেচামেচি শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় অনিমা দে এবং তার মেয়ে তনুশ্রীকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগের তির অনিমাদেবীর জামাইবাবু দুলাল কৃষ্ণ দে-র দিকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোবরডাঙা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তাক্ত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘরে একটি চিরকুটও পায় পুলিশ। সেখানে লেখা আছে আমার ঘরে তিনটি চিঠি আছে পুলিশের জন্য। এরপরই খোঁজ শুরু হয় জামাইবাবু দুলাল দের। কিন্তু শনিবার রাতেই জানা যায় গোবরডাঙ্গা স্টেশন সংলগ্ন রেল লাইনে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুলালবাবু। গভীর রাতে বনগাঁ জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নিছক পারিবারিক অশান্তি নাকি অবৈধ সম্পর্ক সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে গোবরডাঙা থানার পুলিশ। গুরুতর জখম মা ও মেয়ের বয়ান রেকর্ড করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি দুলালবাবুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
Post a Comment
Thank You for your important feedback