নন্দীগ্রাম দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, নন্দীগ্রামে উত্তেজনা

নন্দীগ্রাম দিবসে অনুষ্ঠানের আগেই উত্তেজনা নন্দীগ্রামে। শুভেন্দুকে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামে। সোনাচূড়াতে শহীদবেদীতে মাল্যদান করতে আসার কথা বিজেপি নেতা তথা ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের বিশাল কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে যায় রবিবার সকালেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়ে ওই এলাকায়। 

পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনীও। সংঘর্ষে পাঁচ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতাদের। পুলিশের সামনেই চলে দুদলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং বচসা। দুদলের সমর্থকরাই একে ওপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে ঘটনাস্থলে আরও পুলিশবাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখানে র‍্যাফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও পৌঁছে যায়। এখনও থমথমে সোনাচূড়া এলাকা। 


রবিবার নন্দীগ্রাম দিবসে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের, আবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপিও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে নন্দীগ্রামে। এদিন সকালে ভাঙাবেড়িয়ায় এলাকায় তৃণমূলের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করতে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। এরপর সোনাচূড়াতে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল। সেখানে বিজেপির তরফে শহীদবেদীতে মাল্যদান করতে আসার কথা শুভেন্দুর। 

সেখানে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতক’ পোস্টার পড়ে। এই নিয়েই দুদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। অপরদিকে ভাঙাবেড়িয়ায় তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী শহীদবেদীতে মাল্যদান করতে যান। তিনি বলেন, সকলেরই অধিকার আছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করার। এর কিছু সময় পরে নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান শুভেন্দু। মাল্যদান করেন শহীদ বেদীতে। পরে জানান, তৃণমূলের শহীদ দিবস পালনের কোনও অধিকার নেই, শহীদ পরিবারগুলি তাঁর সঙ্গেই আছে। আমি প্রতি বছরই এই দিনটি পালন করি।


 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post