কাঁথির শান্তিকুঞ্জ, অধিকারী পরিবারের বসতবাড়ি। একুশের নির্বাচনের আগে এই বাড়িই এখন বঙ্গ রাজনীতির ফোকাসে। কারণ অধিকারী পরিবারের দুই ছেলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। এবং এক ছেলে তৃণমূলে থাকলেও দলীয় কর্মসূচিতে নেই। অপরদিকে পরিবারের কর্তা অর্থাৎ শিশির অধিকারী খাতায় কলমে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান, তবুও তাঁকে বাদ দিয়েই সব কাজ হচ্ছে জেলায়। স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ছোট ছেলে সৌমেন্দু কাঁথি পুরসভার প্রশাসক ছিলেন, সেও বিজেপিতে পা দিয়েছে। অপর ছেলে দীব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। তিনিও কার্যত দল থেকে বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী। রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে।
সিএন নিউজকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার গোটা পরিবারের উপর যে ধরনের আক্রমণ হয়েছে, তাতে কেউই বাদ নেই। বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে গালিগলাজ করা হচ্ছে। অবর্নণীয় অত্যাচার চলছে। তাঁর আক্ষেপ, আমরা যেন কোনও অপরাধ করেছি, খুন করেছি কাউকে! এর পরেই তাঁর প্রশ্ন আমার ছেলে বিজেপিতে গিয়ে কী কোনও অপরাধ করেছে? যা জীবনে কোনও শত্রু আমার বিরুদ্ধে বলতে পারেনি। এমনকী সিপিএম, কংগ্রেসের লোকেরাও করেননি। কিন্তু আমাদের দল নিকৃষ্ট মানের লোকজনকে এখানে পাঠিয়ে আক্রমণ করেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি এও দাবি করেন, দলের প্রতি অতিষ্ট হয়েই শুভেন্দু দল ছেড়েছে।
এরপরই বর্ষীয়ান নেতা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে জানিয়ে দেন, আপাতত ঘরেই আছি। ছেলেরা বলেছে ঘরে থাকতে। কিন্তু ছেলেকে আক্রমণ করলে ছেড়ে কথা বলব না। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে শিশিরবাবুর। তাই ঘরবন্দি রেখেছেন নিজেকে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বাড়ির সামনে মাইক বাজিয়ে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করছেন তৃণমূলের একাংশ। রাজনৈতিক মহলের অভিমত ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে এগোচ্ছে তাতে শিশিরবাবুর তৃণমূল ছাড়া কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback