২০০৭ সালের ১৪ মার্চ, সেদিন আন্দোলনকারী গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেদিন পুলিশ কার নির্দেশে গ্রামে ঢুকেছিল এবং গুলি চালিয়েছিল সেই প্রশ্ন আজ ১৩ বছর পর ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল। বাম আমলের ওই ঘটনায় তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারকে। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটের আবহে তাঁরই ভোলবদল। এবার নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী একদা তাঁরই সহযোগী এবং নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পুরোধা শুভেন্দু অধিকারী। আর তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে আচমকাই আঙ্গুল তুললেন শুভেন্দুর ওপর। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই সেদিন নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকেছিল। চটি পায়ে পুলিশের পোশাকে ক্যাডার ঢুকিয়েছিল সিপিএম-এর সঙ্গে যোগসাজশে। তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই এবার সরব হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
অপারেশন সূর্যোদয়
সোমবার রাতেই সিপিএমের রাজ্য কমিটির তরফে জারি করা এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, 'সেদিনের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন। আর কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ'। প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল থেকেই সিপিএম মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হতে শুরু করে। রাতেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ বুদ্ধদেববাবুর বিবৃতি প্রকাশ করা হল সময় নষ্ট না করে। তিনি লিখিত ওই বিবৃতিতে আরও বলেছেন, রাজ্যের এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র সংযুক্ত মোর্চা, তাই তাঁদের প্রার্থীদের দিকে দিকে জয়ী করুন। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় যে চক্রান্ত আছে, সেটা সেই সময়ই দাবি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ ১৪ বছর পর তাঁর অভিযোগের সত্যতা কার্যত স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এখন দেখার মমতা-শুভেন্দুর কাদা ছোড়াছুড়িতে সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কতটা সুবিধা করতে পারে নন্দীগ্রামে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback