আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাহারায় নিযুক্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। এই বিএসএফ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। তৃণমূল যুব সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, তাহলে গরু পাচারের দায় তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, তাহলে তো তাঁর পদত্যাগ করা উচিৎ? বুধবার কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভা করে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নন্দীগ্রামে জনসভা করেন অভিষেক। এই নন্দীগ্রামেই বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, অভিষেকের সঙ্গেই মতনৈক্য হওয়ায় তিনি দল ছেড়েছেন। সেই নন্দীগ্রাম, যেখানে প্রার্থী তৃণমূল নেত্রী তাঁর পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানে দাঁড়িয়েই এদিন আগাগোড়া বিজেপিকে তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অমিত শাহ কে বিঁধে তিনি যেমন গরু পাচার তদন্তের জবাব দিয়েছেন, তেমনই বহিরাগত তত্ত্ব তুলে বললেন, এক দিকে বহিরাগত নেতা, বিজেপি-র সর্বোচ্চ নেতা, দিল্লির ১৫০০ কোটি টাকার পার্টি অফিস, ৬ কোটি টাকার গাড়ি চাপেন, তিনি কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন। আর এক দিকে, বাংলার মেয়ে কালাঘীটের টালির ছাদের নীচে থাকেন, পায়ে হাওয়াই চটি পরেন, তিনি কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি দলছুটদের আক্রমণ করে শুভেন্দুকেও ‘বার্তা’ দিয়ে গেলেন। শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়েই অভিষেক এদিন বললেন, ‘বিশ্বাসঘাতকের পায়ের তলার মাটি এমনিতেই সরে গিযেছে। ২ মে-র পর আর আর বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না’।
শুধু তাই নয়, তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুকে ‘ফোর টোয়েন্টি অধিকারী’ বলে তোপ দাগলেন। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একের পর এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল যুব সভাপতিকে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে আক্রমণ করে এসেছেন। এবার তারই জবাব দিলেন অভিষেক। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই তিনি বললেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিলে, তখন তো সংখ্যার কথা ভাবোনি? বিজেপি-তে গিয়ে এই শিক্ষা হয়েছে? সংখ্যার ভিত্তিতে মানুষের নামকরণ হলে তাহলে শুভেন্দু অধিকারী নাম হতো না, নাম হতো ‘ফোর টোয়েন্টি অধিকারী’।
Post a Comment
Thank You for your important feedback