মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার পর বলেছিলেন যে, তিনি টালিগঞ্জেও দাঁড়াতে পারেন। টালিগঞ্জ মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অরূপ বিশ্বাসের কেন্দ্র। ফলে একটা গুঞ্জন উঠে গিয়েছিল যে, তবে কি নন্দীগ্রামে জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত নন মুখ্যমন্ত্রী? এমনটাই বলছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু মমতা অরূপকে টিকিট দেন, এবং তিনি ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন টালিগঞ্জ কেন্দ্রে। এই একটি ঘটনাই ভাবিয়ে তুলছে বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে কি মমতা নন্দীগ্রাম জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত? এর পরেই কি অরূপকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মমতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাঘের ঘরে ঢুকেছেন মমতা, কারণ তিনি প্রমান করতে চেয়েছেন যে একুশের ভোট যুদ্ধে সেনাপতি।
অমিত শাহ বুদ্ধিমান মানুষ, দল বলে তিনি বিজেপির প্রধান বুদ্ধিদাতা এবং ক্রাইসিস ম্যানেজার। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় ডুবে যাওয়া জায়গা থেকে বিজেপি উঠে দাঁড়ায়, এবং এখন মহিরূহে পরিনত হয়েছে বিজেপি। মমতার মাস্টারস্ট্রোকে বিজেপিও কার্যত বিভ্রান্ত। তবে আপাতত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝেছেন, নন্দীগ্রাম জেতা একটা প্রেস্টিজের লড়াই। ফলে শুধু স্মৃতি ইরানি নয়, ফ্রন্টলাইন নেতাদের সবাই এই অঞ্চলে এসেছেন এবং যোগী সহ বাকিরাও আসবেন। একটাই লক্ষ যে ভাবেই হোক শুভেন্দুকে জেতাতে হবে। অপরদিকে শুভেন্দুও মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন নন্দীগ্রামে। তিনি নিজেই একজন স্টার ক্যাম্পেইনার, তবুও তিনি নন্দীগ্রামের বাইরে যাচ্ছেন না ভোট হওয়া পর্যন্ত। অপরদিকে, মমতা ব্যস্ত জেলায় জেলায় প্রচারে। তিনি একেবারে শেষ দফার প্রচারে নন্দীগ্রামে যাবেন। সবমিলিয়ে নন্দীগ্রাম এখন গোটা বাংলার নজরের কেন্দ্রবিন্দু।
Post a Comment
Thank You for your important feedback