পূর্ব মেদিনীপুরে ভোট প্রথম দফাতেই। তাই ভোটের আগে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভাঙা পা’ নিয়েই একের পর এক সভা করে সবাইকে টেক্কা দিতে চাইছেন। শুক্রবার তিনি জনসভা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, পটাশপুর এবং মেচেদায়। প্রতিটি সভাতেই নিয়ম করে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদিকে তুমুল আক্রমণ করলেন। পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএমকে ভোট না দেওয়ার আর্জিও জানালেন। তবে ভোট লুট হতে পারে এই আশঙ্কা করে তৃণমূল নেত্রী পটাশপুরের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলেন ভোটের পর স্ট্রংরুমের দিকে যেন কড়া নজর রাখা হয়। তিনি বললেন, ‘ইভিএম মেশিন খারাপ হলে খবর নিন। ঠিকঠাক বদলানো হল কি না দেখুন। কেন্দ্রীয় বাহিনীদের কথা শুনবেন না। ভোটবাক্স নিজেদরকেই পাহারা দিতে হবে’।
পাশাপাশি বার্তা দিলেন দলছুটদের, বললেন, ‘ওরা গদ্দার ছিল, গদ্দারি করেছে। তলে তলে যে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে সেটা বুঝতে পারিনি’। মেচেদার সভা থেকে তিনি বলেন, গ্’রামের ছেলেরা যেমন কবাডি খেলে, সেরকমই কবাডির প্যাঁচে কাত করে দিন বিজেপি-কে’। পাশাপাশি তমলুকে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন এই কথা স্মরণ করিয়ে তৃণমূল নেত্রী বললেন, এখানকার মানুষ সমৃদ্ধ মানুষ। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতীদের মধ্যে অনেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের। বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে বললেন, ‘অন্যসময় দেখা যায় না। ভোটের সময় এসে বলে ৫০০ টাকা নাও ভোটটা দাও। টাকার বদলে ভোট দেবেন না বিজেপিকে’।
আবার নিজের নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়ে বলেলন, মা-বোনেদের লক্ষ্মীর ভাড়ারে আমি মাসে ৫০০ টাকা করে দেব ক্ষমতায় এলে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘আমাদের সরকার নির্বাচিত হয়ে সব মহিলাদের ৫০০ টাকা করে হাতখরচা দেবে। কন্যাশ্রীতে ২৫ হাজার টাকা জমা দিই। পড়ুয়াদের বছরে ১০ লাখ টাকার অ্যাকাউন্ট করে দেব’। পাশাপাশি বলেন, দিঘায় ইকো ট্যুরিজম করে দেওয়া হয়েছে। এবার দিঘাতে জগন্নাথের মন্দির হবে। কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন হবে। এরপরই তাঁর হুঙ্কার, ‘আমরা মুখে বলি না, কাজ করে দেখাই’।
Post a Comment
Thank You for your important feedback