আট দফার নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত আসন নন্দীগ্রাম। আর রাত পোহালেই ভোট নন্দীগ্রামে। এই আসনে যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দুই হেভিওয়েট। কিন্তু দুই দলের মধ্যে গোলমাল, অশান্তি লেগেই আছে। ফলে অত্যন্ত কড়া হাতেই নন্দীগ্রামে ভোট করাতে তৎপর নির্বাচন কমিশন। অন্তত কমিশনের নির্দেশ ও পরিকল্পনা তাই বলছে। সব দিক ঠিক থাকলে এক নজীরবিহীন ভোট দেখবে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৩৫৫টি বুথ রয়েছে। আর প্রত্যেকটি বুথই স্পর্শকাতর, প্রতিটি বুথেই থাকবেন একজন মাইক্রো অবজারভার। ৭৫ শতাংশ বুথে হবে ওয়েব কাস্টিং। বাকি বুথেও থাকবে কমিশনের ভিডিওগ্রাফার। আজ অর্থাৎ বুধবার সন্ধে ৬টা থেকে আগামী শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
এর জেরে ভোটপর্ব মেটা না পর্যন্ত নন্দীগ্রামে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। ৫ জনের বেশি একসঙ্গে থাকা যাবে না। আবার দুটোর বেশি বাইক একসঙ্গে বেরোলেই গ্রেফতার করা হবে। বুধবার বিকাল ৫টা থেকে নন্দীগ্রামে সমস্ত খেয়া পারাপার বন্ধ থাকবে। এরপর ২ এপ্রিল থেকে খেয়া পারাপার চালু হবে। সোমবার পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ২২ কোম্পানি সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীরাও থাকবেন। এছাড়াও ভোট না মেটা পর্যন্ত গোটা নন্দীগ্রামে চলবে হেলিকপ্টার থেকে নজরদারি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে হেলিকপ্টারে নজরদারি।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থানা এলাকার দায়িত্বে থাকবেন একজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। আর বাকি পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য কমিশন নিয়োগ করেছে আরেকজন শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে। নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকবেন নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। আর পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে প্রবীন ত্রিপাঠি। দুজনেই কড়া ধাঁচের আইপিএস হিসেবে পুলিশ মহলে পরিচিত। তবে এখন দেখার কমিশনের সব রকম চেষ্টার পরও নন্দীগ্রামের নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয়। কারণ নন্দীগ্রামে ঢোকার চারটি প্রধান পথ চণ্ডীপুর, তল্লা, তেখালি এবং খেজুরির বটতলায় নাকা চেকিং করছে সিআরপিএফ। বাকি অসংখ্য ছোট রাস্তা ও গলি অরক্ষিত রয়েছে। যেখান দিয়ে অবাধেই বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারে বলেই মনে করছে নন্দীগ্রামবাসী।
Post a Comment
Thank You for your important feedback