২০০৭ সালের ১৪ মার্চ, উত্তাল নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার ১৪ বছর পর তৃণমূল নেত্রী এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। সোমবার নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকের এক সভায় দাবি করলেন, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ ‘বাপ-ব্যাটার’ নির্দেশেই পুলিশ ঢুকেছিল নন্দীগ্রামে। অর্থাৎ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে বিজেপিতে যোগদানকারী শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই সরাসরি আঙ্গুল তুললেন তৃণমূল নেত্রী। বলা চলে নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকের সভা থেকে কার্যত বোমা ফাটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেনে আনলেন সিপিএমকেও।
এই দাবির পিছনে মমতার ব্যাখ্যা, ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল সিপিএম এবং অধিকারী পরিবারের যোগসাজশে। আর তাই অধিকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। কোনও মামলা করেনি তৎকালীন শাসকদল সিপিআইএম। প্রসঙ্গত, ওই সময় নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢোকা এবং গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে এতদিন সিপিএমকেই কাঠগোড়ায় তুলে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু একুশের ভোটে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর ভোটের কয়েকদিন আগে সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দু এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর যোগসাজশের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন মমতা আরও বলেন, ‘সেদিন সিপিএমের ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে গুলি চালিয়েছিল। আজও তাই করছে। পুলিশের ড্রেস কিনে ক্যাডারদের সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে। বলবে বিজেপিকে ভোট দিন’।
এর পাশাপাশিও অধিকারী পরিবারের উদ্দেশ্যে এদিন অভিযোগের আরও তির নিক্ষেপ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, ‘ট্রলার থেকে শুরু করে হোটেল থেকে শুরু করে কী নেই। শুধু নেই মনুষ্যত্ব। আমি ভাবতে পারিনি যাকে একের পর এক মন্ত্রিত্ব দিয়েছি, সাংসদ করেছি, ছোট ভাইকে মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান করেছি, এত কিছুর পর এখন অনেক টাকা। এখন বিজেপিকে ধরছে। এত সাহস যে ওরা বলছে, হয় বিজেপি কর, না হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরো’। সোমবার নন্দীগ্রামে তিনটি সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নন্দীগ্রামে রোড শো করেন তিনি। প্রায় ৮ কিলোমিটার এই রোড শো হুইল চেয়ারেই পার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback