আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একঝাঁক নতুন মুখ দেখা যাবে। শুক্রবারই শাসকদল তাঁদের ২৯১ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল। প্রত্যাশা মতোই দেখা গেল বহু বিধায়ক টিকিট পাননি। এছাড়া এলাকায় টিকিটের সবচেয়ে বেশি দাবিদার হয়েও তিনি ব্রাত্যই রয়ে গেলেন। এবারের ভোটে তৃণমূলের ১০০ জনের বেশি প্রার্থীর বয়স ৫০ বছরের নীচে। আবার ৩০ জন মতো প্রার্থীর বয়স ৪০-এর নীচে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, প্রার্থী তালিকায় নবীন এবং প্রবীনদের একটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। আবার নতুন প্রজন্মকে বেশি সুযোগ করে দিয়ে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিলেন, যে আগামী সময়ে তাঁরাই নেতৃত্ব দেবে দলকে। এবার দেখে নেওয়া যাক কারা কারা এবার টিকিট পেলেন না বা দাঁড়াতে চাননি ভোটে। খরদহ বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক অমিত মিত্র। তিনি রাজ্যের অর্থ এবং শিল্প মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তৃণমূলের শেষ দশ বছর। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্যই এবার তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানালেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর জায়গায় নতুন প্রার্থী হয়েছেন কাজল সিনহা।
টিকিট পাননি রায়দিঘির দেবশ্রী রায়ও। তাঁর জায়গায় নতুন মুখ অলোক জলদাতা। অপরদিকে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর জায়গায় এবার প্রার্থী করা হল শ্যামল রায়কে। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে প্রত্যাশামতোই টিকিট পেলেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। সেখানে এবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লড়াইয়ের সম্ভবনা তৈরি হল। টিকিট পেলেন সৌমিত্র খাঁ-র স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তাঁকে প্রার্থী করা হল আরামবাগ থেকে। নতুন প্রার্থী পেল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গড় বলে পরিচিত ভাটপাড়া এবং জগদ্দল। এই দুই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিট পেলেন যথাক্রমে জিতেন্দ্র সাউ এবং সোমনাথ শ্যাম। উল্লেখ্য, জগদ্দলের বিদায়ী বিধায়ক পরশ দত্ত দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি থেকে দূরে। তাই তাঁকে এবার সরিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। শিলিগুড়িতে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback