প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। তখনই সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে ঘোষিত প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের থেকে এক কদম এগিয়ে থাকতেই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ও অশোকনগর, নদিয়ার কল্যাণী এবং বীরভূমের দুবরাজপুরে ঘোষিত প্রার্থীদের বদল করা হয়েছে। আমডাঙায় বিদায়ী বিধায়ককে টিকিট দেয়নি তৃণমূল, এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদলে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানকেই ফের প্রার্থী করা হল।
অপরদিকে অশোকনগর থেকে প্রার্থী করা হল নারায়ন গোস্বামীকে। তিনি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন। মূলত তাঁর কাঁধেই দায়িত্ব ছিল জেলার সমস্ত আসন জিতিয়ে আনা। এবার তাঁকেই প্রার্থী করে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল নেতৃত্ব। কল্যাণী থেকে টিকিট দেওয়া হল অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে এবং দুবরাজপুরে দেবব্রত সাহাকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, কল্যাণীতে যোগ্যতর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হল অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে। সেখানেও প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ছিল। একই ব্যাখ্যা দুবরাজপুরে।
কিন্তু আমডাঙায় বিদায়ী বিধায়ক রফিকুরকে প্রার্থী না করায় কার্যত বিদ্রোহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আমডাঙা অঞ্চলে তৃণমূলের মধ্যে। এবার তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত করতেই রফিকুরকে ফিরিয়ে আনা হল। অপরদিকে শুক্রবার টালিগঞ্জ বিধানসভা আসনে মনোনয়ন পেশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে তিনি টালিগঞ্জেও দাঁড়াতে পারেন। তবে তালিকায় অরূপ বিশ্বাসের নামই ছিল। এবার টালিগঞ্জে অরূপই মনোনয়ন পেশ করায় স্পষ্ট হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়ছেন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback