গোটা দেশে ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়েছে প্রায় ৪৪ লাখ টিকার ডোজ। গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যে যতটা টিকা বরাদ্দ করা হয়েছিল তার ২৩ শতাংশ টিকাই নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যের অধিকার আইন বা RTI করে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তার জবাবেই বলা হয়েছে বিগত তিন মাসে দেশের কয়েকটি রাজ্যে বিপুল পরিমান করোনার টিকা নষ্ট হয়েছে। তবে এর একটা বড় অংশই পাঁচটি রাজ্যে। সেগুলি হল তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা এবং মণিপুর। তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যে একটিও টিকার ডোজ নষ্ট হয়নি। পাশাপাশি কেরল, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, দমন ও দিউ, আন্দামান ও নিকোবরে টিকা কম নষ্ট হয়েছে।
ওই আরটিআই-এর জবাবে জানানো হয়েছে, তামিলনাড়ুতে টিকা নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ। এরপর এরপরই রয়েছে হরিয়ানা। সেই রাজ্যে নষ্ট হয়েছে ৯.৭৪ শতাংশ ভ্যাকসিন। পঞ্জাবে নষ্ট হয়েছে ৮.১২ শতাংশ, মণিপুরে নষ্ট হয়েছে ৭.৮ শতাংশ, তেলঙ্গানায় নষ্ট হয়েছে ৭.৫৫ শতাংশ টিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে বেশ কয়েকটি রাজ্য প্রশ্ন তুলছে টিকার যোগান নিয়ে। অনেক রাজ্য দাবি করছে পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না তাঁরা। সেখানে এত বিপুল পরিমান টিকার ডোজ নষ্ট হওয়ার খবর সামনে আসতেই শোড়গোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। ফলে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল টিকার যোগান নিয়ে। এবার ১৮ বয়সী সকলকেই করোনার টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ফলে আরও বিপুল পরিমান টিকা নষ্টের সম্ভাবনাও তৈরি হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Post a Comment
Thank You for your important feedback