তৃতীয় দফার ভোট ৬ এপ্রিল। তার আগে ফের রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার দুটি জনসভা করলেন তিনি। প্রথমে হুগলির হরিপালে এদিন ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এখান থেকে ফের একবার তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি বললেন, ‘প্রথম দু'দফার নির্বাচনেই রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আসল পরিবর্তন চাইছে বাংলা’। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি সবসময়ই সমৃদ্ধ। সবসময়ই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে এই রাজ্য। আগামী ২ মে কী ফলাফল হবে, তা নন্দীগ্রামে নির্বাচনের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন তিনি। নাম না নিয়েই দিদি বলে সম্মোধন করে মোদি বলেন, ‘যখন কেউ EVM-কে গালাগালি করেন, নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেন। তাহলে বুঝতে হবে তাঁর খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। দিদি, আপনার সামনে হার। আপনি এবার স্বীকার করে নিন।নির্বাচন খেলা নয়। গণতন্ত্র খেলা নয়’।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এও জানিয়ে রাখলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার সপথের দিন তিনি নিজেই আসবেন কলকাতায়। বললেন, ‘নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, ভাই দিল্লি থেকে পয়সা পাঠাব। প্রথম মন্ত্রিসভায় এটা লাগু করুন। বাংলার প্রতিটা কৃষককে বকেয়া টাকা-সহ ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ১০ বছর সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল। নতুন সরকার আসার পর সরকারি মেশিন সক্রিয় করতে সময় লাগবে। দুর্গাপুজোর আগে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে’। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নিজের অহঙ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় যোজনায় দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মোদির ভাষণে সিঙ্গুরের প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, সিঙ্গুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। সিঙ্গুরে শিল্পও হয়নি, চাকরিও নেই। আর মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে ব্রিবত কৃষকরা। পর্যাপ্ত হিমঘর না থাকায় হুগলির আলু নষ্ট হয়ে যায়। হিমঘরেও সিন্ডিকেট রাজ চলে। আলু চাষিরা কম দামে ফসল বেচতে বাধ্য হচ্ছেন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback