আগামী দফাগুলিতে মোদিই মুখ


 কেন্দ্র হোক কিংবা রাজ্য, ভোটের অবস্থানের খবর প্রশাসনের কাছে থাকেই | সেই অনুযায়ী তারা স্ট্র্যাটেজি তৈরী করেন | বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানে মোদিই সারা দেশে প্রচারের মুখ | বিগত লোকসভা নির্বাচনে একেবারে তলানি থেকে মোদি দলকে তুলে আনেন এবং তিনিই ছিলেন প্রচারে প্রধানমন্ত্রীত্বের একমাত্র মুখ | কাজেই তিনি তখন যেখানেই গিয়েছেন একটি কথাই বলেছেন বিরুদ্ধের প্রধানমন্ত্রীর মুখ কোথায়| এটি ভারতীয় রাজনীতির চিরকালীন উদাহরণ | ইন্দিরা রাজীব থেকে বাজপেয়ীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মুখ ছিল না, ব্যতিক্রম ১৯৭৭ ( জরুরি অবস্থা ) এবং ২০০৪ দ্রব্যমূল্য সংকট | দল এখনও এ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে উঠতে পারেনি বা চায় নি | তাই খোদ মোদিকেই মুখ করে লড়াইয়ে বিজেপি |
যেখানে যোগীর স্ট্র্যাটেজি কাজ দিচ্ছে না সেখানে মোদি দায়িত্ব নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখ হতে চাইছেন | লক্ষ করা গিয়েছে কোনও সভায় মোদি ধর্ম নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করছেন না এবং প্রথম থেকেই 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিও উঠছে না | তিনি তাঁর চিরায়ত ভঙ্গিতে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন | তৃতীয় পর্বের আগে স্ট্র্যাটেজি বদলে 'দিদি নন্দীগ্রামে হারছেন' আওয়াজ তুলে দিয়েছেন যাতে ভোটাররা দিদির ভরসা না করে | একই সাথে সরকারি কর্মীদের নিশ্চিন্ত করছেন যে, তাদের দায়িত্ব বাড়বে | এতে সরকারি কর্মীদের ভোট পেতে সুবিধা | আস্তিনের সব তাসই বের করে দিচ্ছেন, তিনি কারণ তিনি জানেন তৃতীয় ও চতুর্থ পর্ব কঠিন লড়াই |

 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post