বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের শুরু থেকেই বিক্ষিপ্ত
অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। মূলত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকেই বেশি
অভিযোগ আসছে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুরের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর
পাওয়া যাচ্ছে।
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের রুইয়া এলাকায় বিজেপির
এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল সকল থেকে। রুইয়া
মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ১৪৩, ১৪৪ ও ১৪৫ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে
বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
দমদম
উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ফতুল্লাহপুরে ৭০ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং
এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি
প্রার্থী ডাঃ অর্চনা মজুমদারের অভিযোগ, পলাশ দাশ নামে তাঁর এক এজেন্টকে
অপহরণ করেছে তৃণমূল। পরে সেখানে যান তিনি। জিডিও শেষ পর্যন্ত ওই এজেন্টের
খোঁজ না মেলায় অপর এক ব্যক্তিকে এজেন্ট হিসাবে ওই বুথে বসান বিজেপি
প্রার্থী।
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের কল্যাণনগরে বিজেপি এজেন্টকে
মারধরের অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তের অভিযোগ, বিজেপি এজেন্টকে
রড দিয়ে মারধোর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শুরু আগেই
উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ
এলাকায়। কাঁচরাপাড়া ও হালিসহরে রাতভর বোমাবাজি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়
লোকজন। এদিন সকালে কাঁচরাপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বুথের কাছে
জমায়েত করেন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ২ পক্ষের মধ্যে
হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। মারামারিতে
তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর উৎপল দাশগুপ্তের মাথা ফেটেছে বলে দাবি।
চোপড়ার
গুলি চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। ভোটের আগে রাত একটা নাগাদ এক এক বিজেপি
কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার
সকালেও চোপড়ায় তুমুল উত্তেজনা রয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের গলসি বিধানসভা
কেন্দ্রের সুজাপুরের ২১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের ভোটদানে বাধার
অভিযোগ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় ব্যাপক
উত্তেজনা। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই জেলার কেতুগ্রামে বুথের বাইরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার চালানো হয়েছে বলেই অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল।
জগদ্দল
বিধানসভার মাদরাল সারস্বত লাইব্রেরি কেন্দ্রে ১০৬ নম্বর বুথে ভিভিপ্যাড ও
ইভিএম মেশিন খারাপ হয়ে যায়। ভোট শুরুতেই এই ঘটনা। এরপর এলাকায় বেশকিছুক্ষন
বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভোটারদেড় লম্বা লাইন পরে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী
এরপ-ওর নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। যদিও ঘন্টা দুয়েকে পর ভিভিপ্যাড ও
ইভিএম মেশিন বদলে দেওয়া হয়।
Post a Comment
Thank You for your important feedback