সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ? এবার মমতার নিশানায় সিদ্দিকী-ওয়েইসি

একুশের ভোটে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। যা একুশের নির্বাচনে নয়া সমীকরণের সূত্রপাত বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্যে ইতিমধ্যেই দুটি দফার নির্বাচন সম্পন্ন। তৃতীয় দফার নির্বাচনী প্রচারে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দুটি জনসভা করলেন, একটি রায়দিঘি অন্যটি ক্যানিংয়ে। পাশাপাশি হাওড়ায় করলেন রোড শো। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিজের ভাষণে নিয়ম করে বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার আক্রমণ করলেন আব্বাস সিদ্দিকী এবং আসাউদ্দিন ওয়েসিকেও। 

 


এদিন দুজনেরই নাম উচ্চারণ না করেই তৃণমূল নেত্রী বললেন, ‘হায়দরাবাদ থেকে বিজেপি-র এক বন্ধু এসেছে, ফুরফুরা শরিফের একটা চ্যাংড়াকে নিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছে। আর হিন্দু-মুসলমান ভাগ করার চেষ্টা করছে। ওদেরকে একটা ভোটও দেবেন না। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপি-কেই দেওয়া’। পাশাপাশি তিনি এও বললেন, মুসলমানের ভোটটাকেও ভাগাভাগির চেষ্টা করছে বিজেপি। এদিন সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, সংখ্যালঘু এলাকায় কেউ অত্যাচার করতে এলে সবাই মিলে আজানের ধ্বনি দেবেন। দেখবেন সব চুপ করে গেছে। কোনও হিন্দু-মুসলমান অশান্তি করবে না, আমরা একসঙ্গে থাকি। এক সঙ্গে দুর্গাপুজো করি, একসঙ্গে কালিপুজো করি। একসঙ্গে ইফতার করি।


বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি তুলে আনলেন নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেত্রী এদিন মারাত্মক দাবি করলেন। তিনি বললেন, নন্দীগ্রামের গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিজেপি নেতারা বলেছে তোমার মেয়েকে লুট করে নিয়ে যাব, তোমার বাচ্চাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাব। দিল্লির পুলিশ নিয়ে এসে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে গ্রামে গ্রামে ঢুকেছে বহিরাগত গুন্ডারা। আবার পুলিশের পোশাক পরিয়ে অনেককে দিয়ে গ্রামে লোকেদের ভয় দেখানো হয়েছে। এরপরই মমতার কটাক্ষ, যদি ৬ এপ্রিল খেলা হয়, তাহলে একটা ভোট তৃণমূলে দিন। 

তৃণমূল মানে জোড় ফুল। আর ওদেরটা কী! ওটা পুজোর ফুল নয়। ওটা ছদ্দবেশী পচা ফুল। ৬ এপ্রিল আসছে দিন বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দিন। বলুন বিজেপি গেট লস্ট, ওটা পচা, ওটা বাংলা দখল করতে চায়। অপরদিকে ক্যানিংয়ের জনসভা থেকে রাজ্য পুলিশকেও কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, বাংলার পুলিশ এত ভয় পায় কেন? ওরা রাজ্যের চাকরি করেন। বাড়ি বাড়ি বাহিনীকে পাঠিয়ে ওরা বসেছিল কেন? তাঁর হুঙ্কার, ৬৩টি এফআইআর হয়েছে, আমরা আইনিভাবে বুঝে নেব। প্রত্যকটা কেস করাবো, কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post