কৃষ্ণনগর শহর সংস্কৃতির দিক থেকে অন্যতম পীঠস্থান। এখান থেকেই উঠে এসেছেন বহু খ্যাতনামা ব্যাক্তিত্বরা। এখানকার মানুষ চিরকাল তাদের শিল্পকলা ও সংস্কৃতির জন্য গর্ব বোধ করেছেন। বিধানসভা কেন্দ্র হিসেবে কৃষ্ণনগর দুই ভাগে বিভক্ত। কৃষ্ণনগর উত্তর এবং দক্ষিণ। একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আবার তারকা প্রার্থীদের জন্য সকলের নজরে। এখানে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী টলি অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় আর বিজেপি প্রার্থী সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে প্রায় ৫৩ হাজার ৫৫১ ভোটে এগিয়েছিল। অনেকটা সেই কারণেই স্থানীয় নেতাদের উপর ভরসা না করে তৃণমূল এখানে প্রার্থী করেছে বাংলা চলচিত্রের নায়িকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে।
কৌশানি আসতে বিজেপি প্রাথমিকভাবে প্রচার করেছিল বহিরাগত এবং তার রেশ ছিল এলাকার তৃণমূলের মধ্যেও। সম্প্রতি দু’গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারকা প্রার্থী কৌশানি এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন এবং সাধারণ মানুষও তাঁর দর্শন পেতে আগ্রহী। সবথেকে বড় বিষয়ে কৌশানি বুদ্ধিমতী, টলিউড জগৎ থেকে এলেও কড়া হাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও চিন্তায় থাকতে হচ্ছে তাঁকে ওই ৫৩ হাজারে পিছিয়ে থাকার বিষয়ে। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখলে জানা যায়, এই কেন্দ্রে বিজেপি তৃতীয় হয়েছিল। কিন্তু তিনবছরে বিজেপি নিজেদের ভোট তিন গুণ বাড়িয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরে।
অন্যদিকে মুকুল রায় অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। বাংলার সমস্ত অলিগলির খবর তাঁর নখদর্পনে। জানা যায় তিনি নাকি বিধানসভায় দাঁড়াতে চাননি কারণ এক সময়ে পার্লামেন্টের আপার হাউসের সদস্য ছিলেন বলে। পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে এটা সম্মানের বিষয় ছিল। কিন্তু দলের চাপেই তাঁকে দাঁড়াতেই হয় বলে খবর। সেই মতে কৃষ্ণনগরে তিনিও বহিরাগত। এই নিয়ে এক সময়ের তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করেছেন সম্প্রতি। মুকুল কিন্তু মমতার এই কথার বিষয়ে মুখ খোলেননি। তিনি নীরবে প্রচার করে যাচ্ছেন। কোনও কটূক্তিও নেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে। মানুষের কাছে ভোটও চাইছেন না শুধু বলছেন, এসেছি। রাজনৈতিক মহলের মতে নদিয়াকে হাতের তালুর মতো চেনেন বর্তমান বিজেপি নেতা। কিন্তু তিনি মুকুল রায়, জানেন কাপ ও ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব আছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback